1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিবাদের ভাষা

হেলেন হুইটেল/এআই৬ ডিসেম্বর ২০১২

অনাবৃত স্তন ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম৷ আর এই পন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন দেশে নারীরা তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচির দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হচ্ছে৷ এ ধরনের প্রতিবাদ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, এই চর্চা থামার কোনো ইঙ্গিত নেই৷

https://p.dw.com/p/16wXD
ছবি: dapd

নগ্ন প্রতিবাদের চর্চা যে একেবারে এই প্রজন্মের আবিষ্কার, এমন কিন্তু নয়৷ উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেই একাদশ শতকেই এরকম এক প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন লেডি গোডিভা৷ প্রজাদের উপর তাঁর স্বামীর আরোপিত অযাচিত কর প্রত্যাহারের দাবিতে নগ্ন হয়ে ঘোড়ায় চড়ে শহর প্রদর্শন করেছিলেন তিনি৷ সেই ঘটনার বর্ণনা ইতিহাসবিদরা বিভিন্নভাবে দিয়েছেন, সেটির সময়কাল নিয়েও রয়েছে দ্বিমত৷ তবে নগ্ন প্রতিবাদের ক্ষেত্রে কিংবদন্তি হিসেবেই বিবেচনার করা হয় লেডি গোডিভাকে৷

জার্মানির পাইরেট পার্টির সদস্যা লাওরা ডর্নহাইম কয়েক সপ্তাহ আগে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে উন্মুক্ত বক্ষ প্রদর্শনের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ হাস্যরসের সঙ্গে তিনি কথাটি বললেও বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের কাছে তাঁর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ঠিকই হাজির হয়েছিল বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা৷

২৯শে অক্টোবরের সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ডর্নহাইম বা তাঁর সহপ্রতিবাদকারীরা কেউই অনাবৃত স্তন প্রদর্শন করেননি৷ বরং তাঁদের উর্ধাঙ্গের পোশাকে লেখা ছিল, ‘হিউম্যান রাইটস নট টিটস' এবং ‘শেম অন ইউ' স্লোগান৷

Femen in Paris
নগ্ন হয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিবাদছবি: AP

ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাওরা ডর্নহাইম জানান, ‘‘অনাবৃত্ত উর্ধাঙ্গ প্রদর্শনের কোনো পরিকল্পনা আমার কখনোই ছিল না৷ আমি শুধু আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়াদি সবার সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম৷ একইসঙ্গে চেয়েছিলাম পুরুষ-প্রধান জার্মান মিডিয়ায় ‘সেক্সিজম'-এর প্রাধান্যের বিষয়টি প্রকাশ করতে৷''

ডর্নহাইম বলেন, ‘‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এটা আসলে কাজ করেছে৷''

২০০৮ সালের কথাই ধরুন, ইউক্রেনের নারীবাদী সংগঠন ফেমেনের একদল সদস্য নগ্ন বক্ষ প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন৷ এমনটা তাঁদের ইচ্ছা ছিল না৷ কিন্তু সে দেশের নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার, যৌনতা নির্ভর পর্যটন আর বেশ্যাবৃত্তির বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো তেমন একটা সাড়া জাগাচ্ছিল না৷ অনাবৃত স্তন প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁরা যখন তাঁদের আন্দোলনের কথা জানায়, তখন সেগুলো গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে৷

এভাবেই রাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ঢুকে পড়ছে নগ্নতা৷ শিল্পকলায় অবশ্য নারীর নগ্ন দেহের বিচরণ বহুবছর ধরেই রয়েছে৷ নারী চিত্রশিল্পীর সংখ্যা কম হলেও ছবিতে নগ্ন নারীর বিচরণ কিন্তু অনেক বেশি৷ আর সেই ধারাই এবার ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে রাজনীতিতে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য