1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তা

১০ আগস্ট ২০১০

প্রতি বছরের মতো এবারও আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাহায্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/OgSN
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে কি?ছবি: AP

দৈনিক ইত্তেফাক এর সম্পাদকীয় শিরোনাম, ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখিতে টিসিবির উদ্যোগই যথেষ্ট নয়'৷ আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বাণিজ্যমন্ত্রী টিসিবির পণ্যবিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা সত্ত্বেও বাস্তবে সাধারণ ক্রেতারা তা সুফল ভোগ করতে পারবে না – এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে৷ পাইকারি ও খুচরা বাজারের তুলনায় বিভিন্ন পণ্যের টিসিবি নির্ধারিত দাম বেশি হওয়ার কারণে ডিলাররা পণ্য সরবরাহ নিতে তেমন আগ্রহ বোধ করছে না৷ টিসিবির এই ঢিলেঢালা উদ্যোগের বিপরীতে রোজায় চাহিদা বৃদ্ধি-পাওয়া পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা সৃষ্টি হইয়াছে জনমনে৷ দৈনিক কালের কণ্ঠ এপ্রসঙ্গে লিখছে, ‘‘রমজানে দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হোক৷ বিশেষ করে ইফতার-সেহরির সময় যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক থাকে – এমন প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের৷ সাধারণের এ প্রত্যাশা পূরণে সরকারের প্রচেষ্টা যেন গতি পায় সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিং কমিয়ে এনে রোজাদারদের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কারণে রাতারাতি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে লোডশেডিং কমে যাবে – এমন কেউ চিন্তা করে না৷ কিন্তু বিভাগীয় কর্মীদের গাফিলতি কিংবা ধীরগতিতে চলা দূর হতে পারে এমনটা নিশ্চয়ই আশা করা যায়৷''

প্রথম আলো এক নিজস্ব প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাহায্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তুলে ধরেছে৷ তাতে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও এর ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাংক চিন্তিত৷ সংস্থাটি মনে করে, বাংলাদেশে যেকোনো বড় উন্নয়নকাজই বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মুখে পড়ে৷ দরপত্রে অংশগ্রহণকারীদের যোগসাজশ ও ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়টিও নিয়মিত৷ বাংলাদেশের জন্য আগামী চার বছরে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে যে কৌশলপত্র তৈরি করেছে, তাতে দুর্নীতির বেশ কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে৷ যেমন বিগত তিন বছরে সংস্থাটির পক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে ৩১টি দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে তদন্ত হয়েছে৷ এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্পে ক্রয়চুক্তির ক্ষেত্রে নানা ত্রুটি খুঁজে পায় বিশ্বব্যাংক৷ ঠিকাদারদের এসব কাজ পরে বাতিল করা হয়৷ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই