যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাদেকী দোষী সাব্যস্ত

আগামী ১৫ অক্টোবর এ মামলার রায় হওয়ার কথা৷ চূড়ান্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে ৬০ বছর পর্যন্ত কারাদনণ্ড হতে পারে সাদেকীর৷ ২৩ বছর বয়সী সাদেকী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবাসহ সন্ত্রাসবাদীদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন৷

এক সপ্তাহ আগে শুরু হয় এই শুনানি৷ ২০০৬ সালে এফবিআই বিশেষ অপারেশন চালিয়ে ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায়৷ মূলত, এর আগে আরেকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত অ্যাটলান্টা টেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র পাকিস্তানি-আমেরিকান সাঈদ হারিস আহমেদের সহযোগী হিসেবে সাদেকীকে গ্রেফতার করা হয়৷

২০০৫ সালে ক্যাপিটল হিল, পেন্টাগন, বিশ্বব্যাংক, জ্বালানি শোধনাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ভিডিও করে ইরাক ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে প্রেরণ করতে সহায়তা করে সাদেকী৷ অবশ্য এই কাজের নেতৃত্বে ছিলেন ২৪ বছর বয়স্ক সাঈদ হারিস আহমেদ, সেও এখন কারাগারে৷ বলা হয়েছে, সাদেকী ওইসব ভিডিও-র কপি প্রেরণ করেছেন ইরাকে আল-কায়েদা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের জন্য লোকভর্তিকারী ইউনুস সুলি এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য আবিদ হোসেন খানের কাছে৷ অ্যাটলান্টার সন্নিকটে বিমান বাহিনীর ডবিন রিজার্ভ বেসে সন্ত্রাসী হামলার ব্যপারেও তারা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেছেন বলে অভিযোগ৷ ২০০৫ সালের মার্চ মাসে সাদেকী ও আহমেদ ক্যানাডায় এফবিআইয়ের সন্দেহভাজন তিন সন্ত্রাসীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ৷ এক কথায় আদালতে বলা হয়েছে সে জিহাদ করতে চেয়েছে৷

আদালতে সাদেকী বলেছেন, তিনি ইসলামি সশস্ত্র আন্দোলনের বিভিন্ন ওয়েব সাইট পরিদর্শন করেছেন, তাদের মতামত পড়েছেন ঠিকই; কিন্তু এসব এই প্রমাণ করে না যে, তিনি জিহাদের সঙ্গে জড়িত৷ সাদেকী বিচারককে বলেছেন, ইসলামি জঙ্গিদের সহায়তা করার বিষয়টি একটি কথার কথা মাত্র৷ তাঁর বিরুদ্ধে জিহাদে যোগ দেয়ার অভিযোগটিকে ফাঁকা বুলি হিসাবেই তিনি আবারো উল্লেখ করেছেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই