1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের জন্য কি দরকারি?

১০ আগস্ট ২০১৩

এখানে শিশু বলতে তিন বছরের নীচের শিশুদের কথা বলা হচ্ছে৷ আজকাল শিশুদের বিভিন্ন বিষয় শেখাতে বাবা-মা’রা টেলিভিশন, কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের সাহায্য নিচ্ছেন৷ কিন্তু সেটা কি ঠিক হচ্ছে?

https://p.dw.com/p/19NAi
Illustration - Ein fünfjähriger Junge spielt in seinem unaufgeräumten Kinderzimmer auf einem iPhone ein Computerspiel, aufgenommen am 10.4.2012 in Berlin. Foto: Jens Kalaene
ছবি: picture alliance/ZB

বাবা-মা'রা নিজেদের আরামের কথা বিবেচনা করেই হোক কিংবা প্রিয় সন্তানের আগ্রহ বা জেদের কারণেই হোক, বাচ্চাদের টিভি, কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন৷ আর সেই সুযোগে ডেভেলপাররা স্মার্টফোনের জন্য ‘শিক্ষণীয় অ্যাপ' তৈরি করছেন৷ তাদের দাবি, এসব ব্যবহার করলে সন্তানরা আরো স্মার্ট হয়ে উঠবে৷ কিন্তু এর কি কোনো প্রমাণ আছে?

এখন পর্যন্ত উত্তর, নেই৷ বরং উল্টোটাই বলছে ‘অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস'৷ এক গবেষণার উল্লেখ করে তারা বলছে, শিশুদের ভিডিও দেখালে ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভেলপমেন্ট'এ দেরি হতে পারে৷ তারা এই বলে সতর্কও করে দিয়েছে যে, এসব ভিডিও শিশুর ভাল করতে পারে, এমন কোনো কিছু এখনো গবেষণায় পাওয়া যায়নি৷

Auf dem Display von einem Smartphone der Marke iPhone spielt am Sonntag (29.01.2012) in Berlin eine Frau das Spiel "Wo ist mein Wasser", bei dem man für das Krokodil Swampy die Badewanne füllen muß. Foto: Jens Kalaene
বাবা-মা'রা নিজেদের আরামের কথা বিবেচনা করেই হোক কিংবা প্রিয় সন্তানের আগ্রহ বা জেদের কারণেই হোক, বাচ্চাদের টিভি, কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

তাই অভিযোগ

অথচ ‘ফিশার-প্রাইস' ও ‘ওপেন সলিউশন' নামের দুটি ডেভেলপার বাচ্চাদের জন্য কয়েকটি স্মার্টফোন অ্যাপ তৈরি করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলো বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে৷ এসব ব্যবহার করে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম শিখতে পারে, সংখ্যা গণনা করতে পারে, যুক্তি দেয়া শিখতে পারে বলে বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়৷

কিন্তু ‘দ্য ক্যাম্পেইন ফর এ কমার্শিয়াল-ফ্রি চাইল্ডহুড' বা সিসিএফসি ঐ দুটি ডেভেলপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে৷ ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন' বরাবর পাঠানো চিঠিতে সিসিএফসি বলছে, ডেভেলপাররা ‘ট্রুথ-ইন-অ্যাডভারটাইজিং' আইন ভঙ্গ করেছে৷ অর্থাৎ তাদের বিজ্ঞাপনে বলা কথাগুলো সত্য নয়, এমন অভিযোগ সিসিএফসি'র৷

পার পায়নি ডিজনির মতো কোম্পানি!

সিসিএফসির অভিযোগের গুরুত্ব আছে৷ কেননা এর আগে তাদের অভিযোগের কারণে জরিমানা দিতে হয়েছে ডিজনির মতো কোম্পানিকেও৷ সেটা ২০০৬ সালের কথা৷ সেসময় সিসিএফসি ডিজনির বিরুদ্ধে ঐ একই আইনভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল৷ পরে ডিজনিকে তাদের ভিডিও ক্রেতাদের টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল৷ এছাড়া গত বছরই একটি কোম্পানিকে ১৮৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে বাধ্য করেছিল সিসিএফসি৷ তাদের ‘অপরাধ' ছিল – তাদের তৈরি ডিভিডি ব্যবহার করে নয়মাস বয়সেই নাকি শিশুরা পড়তে শিখে যাবে, এমন দাবি করেছিল কোম্পানিটি!

জেডএইচ / এসবি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য