1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাসভের ফাঁসি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২১ নভেম্বর ২০১২

২৬/১১-এর মুম্বই হামলার ধৃত জঙ্গি আজমল কাসভের ফাঁসি হয় বুধবার সকালে পুনের জেলে৷ চার বছর আইনি প্রক্রিয়ার পর কাসভের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে৷ শেষে রাষ্ট্রপতি তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করার পর তা কার্যকর হয়৷

https://p.dw.com/p/16nHo
ছবি: AP

বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় পুনের একটি জেলে ২৬/১১-এর মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত ও ধৃত সন্ত্রাসী পাকিস্তানি নাগরিক লস্কর-ই-তয়বার সদস্য আজমল আমির কাসভের ফাঁসি হয়ে গেল চরম গোপনীয়তার সঙ্গে৷ নিরাপত্তার কারণেই এই গোপনীয়তা৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘৫ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতি কাসভের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে ফাইলে সই দেন৷ ৭তারিখে আমি সেই ফাইলে সই করি৷ আর আজ সকাল সাড়ে সাতটায় ফাঁসির কাজ সম্পন্ন হয়৷''

Gefängnis in Pune Hinrichtung des Attentäters Ajmal Kasab
এই কারাগারেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে কাসভকেছবি: STR/AFP/Getty Images

কাসভের লাশ পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চাওয়া হয়, কিন্তু পাকিস্তান তাতে সাড়া না দেয়ায় কাসভের লাশ জেলের চৌহদ্দিতেই কবর দেয়া হয়৷ উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ঐ হামলায় নিহত হয়েছিল ১৬৬ জন, তারমধ্যে বিদেশি নাগরিকও ছিল৷

কাসভের ফাঁসির খবরকে সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে৷ তাদের কথায়, ‘নিহত পুলিশ কর্মীর স্ত্রী, এই সাহসী পদক্ষেপ নেয়ায় আমি খুশি৷ সরকারকে এজন্য ধন্যবাদ....নিহত নিরাপত্তা কর্মীর পিতা, কাউকে মেরে ফেলা ভালো নয়৷ কিন্তু কাসভ যে অপরাধ করেছে, তাতে এই শাস্তি বেশি নয়৷ সাধারণ মানুষ, আজমলের ফাঁসি ভারতের জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার৷'

Gefängnis in Pune Hinrichtung des Attentäters Ajmal Kasab Reaktionen
কাসভের ফাঁসির খবর শুনে উল্লাসে ফেটে পড়ে কিছু মানুষছবি: STR/AFP/Getty Images

বিজেপির প্রতিক্রিয়া, ‘দেশের দাবি ছিল আজমলের ফাঁসি৷ সরকার তা পালন করেছে৷ এবার সংসদের ওপর হামলার অপরাধি আজমল গুরুর ফাঁসি কার্যকর করা দরকার৷' শিবসেনা মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘আজমলের ফাঁসি সদ্য প্রয়াত শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি৷' এখানেই শেষ নয়৷ কাসবের ফাঁসি উপলক্ষ্যে আজ পুনে জেলের বাইরে এবং মুম্বই তাজ হোটেলে মিষ্টি বিতরণও করা হয় বলে খবর৷

এদিকে, কাসভের ফাঁসিতে দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড তুলে নেবার বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক ওঠে৷ জাতিসঙ্ঘের খসড়া প্রস্তাবে মৃত্যুদণ্ড তুলে দেবার পক্ষে ভোট দেয় ১১০টি দেশ আর বিপক্ষে ভোট দেয় ৬৯টি দেশ৷ ভারত, বাংলাদেশ তার অন্যতম৷ ভারত মনে করে, প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইনি প্রক্রিয়া স্থির করার সার্বভৌম অধিকার আছে৷ আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আইনি প্রক্রিয়া থেকে মৃত্যুদণ্ড রদ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মনে করে, ‘বিরলতম বিরল' ক্ষেত্রে ভারতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ কিন্ত আদালত ও বিচারকভেদে তার মাপকাঠি সমান নয়৷ তাই ‘বিরলতম বিরল' মাপকাঠির সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণ করা দরকার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য