1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুদ্রাস্ফীতি

১৮ জুলাই ২০১২

বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়িয়ে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ঘোষণা করা হয়েছে মুদ্রানীতি৷ বাংলাদেশ ব্যাংক অনুৎপাদনশীল ব্যয় এবং সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমানোর কথা বলেছে৷

https://p.dw.com/p/15ZdM
ছবি: DW

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংলাদেশ ব্যাংক'-এর গভর্নর ড. আতিউর রহমান চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মূদ্রানীতি ঘোষণা করেন আজ৷ তিনি বলেন, মূদ্রানীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হল মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা৷ চলতি অর্থ বছরের বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে৷ তাই সেই লক্ষ্য অর্জনে আগের মতো এবারও সংযত মূদ্রানীতি গ্রহণ করা হয়েছে৷

এবারের বাজটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.২ ভাগ৷ যা আগের বাজেটে ছিল ৭ ভাগ৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর জানান, এই লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮.৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এর সঙ্গে অনুৎপাদনশীল ব্যয় ও সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমানো হবে খবর৷ আর বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত মজুদ রাখার ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷

তবে অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল এই মূদ্রানীতির সফলতার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, এখন যা পরিস্থিতি তাতে সরকারি খাতে ঋণ কমানো সম্ভব হবে বলে মনে হয়না৷ কারণ দাতাদের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করায়৷ সরকারকে বড় ধরণের নির্মাণ কাজের জন্য ব্যাংক থেকে বরং আরো বেশি ঋণ নিতে হতে পারে৷

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বলেছেন, সরকার বড় কোনো অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নিলে তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ধরণের সহযোগিতা করবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য