1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে মুসলিম শরণার্থী

২৭ অক্টোবর ২০১২

রোহিঙ্গাদের যেন দেখার কেউ নেই৷ গত জুনে একবার বৌদ্ধদের হামলার শিকার হয়েছিল তারা৷ এবার আবারও সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ রবিবার থেকে তাদের উপর আবারও নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে৷ জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি৷

https://p.dw.com/p/16Y7E
Shofica Belcom, 25, waits with other mothers at a Myanmar Red Cross health clinic near Sittwe, capital of Myanmar's Rakhine state October 14, 2012. Violence erupted in June 2012 between ethnic Buddhist Rakhines and Rohingyas in the northwest Rakhine state, killing at least 77 people and displacing tens of thousands. Belcom and her family have been living in a camp for displaced members of the Rohingya community since June, when the inter-communal violence destroyed her home. The internally displaced persons (IDPs) in Rakhine are accommodated in 40 camps and temporary locations in Sittwe and Kyauktaw townships, with more than 67,700 in nine camps outside Sittwe. Picture taken October 14, 2012. REUTERS/Joe Cropp/International Federation of Red Cross/Handout (MYANMAR - Tags: POLITICS) FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS
ছবি: Reuters

মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নতুন এই হামলায় সাতটি শহরতলির প্রায় তিন হাজার সাধারণ আর ১৮টি ধর্মীয় ভবন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেইন'ও এই খবর স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি৷

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, গত রবিবার থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছে৷ তবে তারা মুসলিম না বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোক তা নিশ্চিত করতে পারেনি এএফপি৷ তবে এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের প্রায় অর্ধেকই মহিলা৷

এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা প্রাণের ভয়ে পশ্চিম মিয়ানমারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় পাওয়ার আশায় ঘর ছেড়েছে৷ রাখাইন রাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন নৌকায় করে প্রায় ছয় হাজার শরণার্থী রাজধানী সিতওয়ের শিবিরগুলোতে এসেছে৷ শিবিরগুলোতে আগে থেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত মানুষ ভিড় করে রয়েছে৷

শিবিরে অবস্থান নেয়া এক ব্যক্তি এএফপিকে জানিয়েছেন যে, নিরাপত্তা কর্মীরা নতুন করে আসা শরণার্থীদের শিবিরে ঢুকতে দিচ্ছে না৷ ফলে শরণার্থীরা কেউ কেউ নৌকায়, কেউবা আবার নদীর তীরে অপেক্ষা করছে৷

মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার জানিয়েছেন, সংঘাত আরও বাড়লে ঐ অঞ্চলে জরুরি আইন জারি করা হতে পারে৷ এদিকে অং সাং সুচির নেতৃত্বে গঠিত একটি সংসদীয় কমিটি সংঘাতের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ - এইচআরডাব্লিউ রোহিঙ্গাদের রক্ষায় ও ত্রাণ দিয়ে সহায়তা করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷

পাশাপাশি কেন এ ধরণের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার আহ্বানও জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ৷ তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি৷

এইচআরডাব্লিউ বলছে, তারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কিছু ছবি পেয়েছেন, যেগুলোতে দেখা যাচ্ছে কিয়াওপু নামের মুসলিম রোহিঙ্গাদের একটি এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে৷

রোহিঙ্গা অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি প্রকল্প আরাকান প্রজেক্ট'এর প্রধান ক্রিস লেওয়া বলছেন, জুন মাসের চেয়ে এবারকার সংঘাত আর বেশি মারাত্মক৷ রাখাইন রাজ্য ধীরে ধীরে নিরাপত্তাহীন এলাকায় পরিণত হচ্ছে৷ শুধু রোহিঙ্গা নয়, অন্যান্য মুসলিমদেরও তাড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে হামলা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি৷

এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ৫২ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সীমান্তে লোকবল বাড়িয়েছে বাংলাদেশ৷

জেডএইচ / এএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য