1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেনা-সমর্থিত সরকারের পদত্যাগ

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

মিশরে সেনা-সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সোমবার হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছে৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাওয়ি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন৷

https://p.dw.com/p/1BF3e
সোমবার পদত্যাগ করেন হাজেম বেবলাওয়িছবি: REUTERS

ঐ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী হাজেম বেবলাওয়ি৷ বৈঠকে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল আবদুল ফাতাহ আল-সিসি উপস্থিত ছিলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন সিসি এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন৷ তবে ক্রমেই অজনপ্রিয় হয়ে ওঠা প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন৷

সাম্প্রতিক সময়ের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জঙ্গি হামলার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল বর্তমান সরকার৷ তবে পদত্যাগের ঘোষণার সময় সরকারের ব্যর্থতা অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেছেন, সরকার বিচক্ষণতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেছে৷ এটা ব্যক্তিগত আগ্রহের বিষয় নয়, জাতির কথা ভেবেই তারা পদত্যাগ করছেন৷ দেশ বর্তমানে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার আলোকেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি৷

Ägypten Militärchef Al-Sisi zum Feldmarschall befördert
ফিল্ড মার্শাল আবদুল ফাতাহ আল-সিসিছবি: Reuters

অন্যদিকে, ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করা সেনা প্রধান অবশ্য এখনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের অংশ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন নি৷ তবে সিসির সহযোগীরা জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করবেন তিনি৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষক কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুস্তফা কামেল আল-সাঈদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার এই পদত্যাগ সিসির পক্ষেই যাবে৷ তিনি আরো জানান, সিসি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ভেবে থাকেন, তবে তাকে এমনভাবে সরকার পরিচালনা করতে হবে যার ভাবমূর্তি হবে উজ্জ্বল এবং তার প্রধান কাজ হবে অবিলম্বে দেশের বর্তমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা৷

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মিশরের মন্ত্রিসভার এই আকস্মিক পদত্যাগে তারা বিস্মিত৷ তারা চান মিশর যাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগিয়ে যায় এবং সেখানে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হয়৷ মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র জেন সাকি জানিয়েছেন, ‘এই পদক্ষেপ একেবারেই অপ্রত্যাশিত৷'

এদিকে, মিশরের অপরাধ আদালত সহিংসতার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ৫০০ সমর্থককে গণ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছে৷ গত বছরের ৩ জুলাই মুরসি সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে হাজারো মুরসি সমর্থক আটক হন৷ মুরসির সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত৷

গত জুলাই মাসে দেশটিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে উত্খাত করে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান আবদুল ফাতাহ আল-সিসি৷ পরে হাজেম বেবলাওয়িকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়৷

এপিবি/এসবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য