1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আল সিসি

২৭ মার্চ ২০১৪

মিশরে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে সেনাপ্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফিল্ড মার্শাল আবদেল ফাতাহ আল সিসি৷ বুধবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/1BWYx
Abdel-Fattah el-Sissi Rede
ছবি: picture alliance/AP Photo

সিসি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘সেনা পোশাকে আপনাদের সামনে এই শেষবারের মত আমার দাঁড়ানো৷ সেনা প্রধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি৷ আমি মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিজেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করছি৷ মিশরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে প্রতিদিন আমি আমার লড়াই অব্যাহত রাখব৷''

সিসির এই মনোনয়ন দেশটির লাখো জনগণ স্বাগত জানিয়েছে৷ আরব বসন্তে হোসনি মুবারকের পতনের পর গত তিন বছরে যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে দিয়ে দেশটি যাচ্ছে, তার অবসানের জন্য সিসিকে উপযুক্ত মনে করছে জনগণ৷ জুনের আগেই মিশরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা৷ এই নির্বাচনে সিসি খুব সহজেই জয় পাবেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘সিসি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং নির্বাচনে তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই৷''

২০১৩ সালের জুলাইয়ে দেশটিতে প্রবল গণবিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহামেদ মুরসিকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদচ্যুত করেন সিসি৷

ব্রাদারহুডের প্রতিক্রিয়া

তবে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে সিসি'র নেতৃত্বে দেশে কোন স্থিতিশীলতা আসবে না৷ লন্ডন থেকে টেলিফোনে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য ইব্রাহিম মুনির সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘সিসি সেনা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখন প্রেসিডেন্ট হতে চাইছেন৷ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করছেন তিনি৷'' এদিকে সিসির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে মুরসি সমর্থক ছাত্রদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এক ছাত্র নিহত হয়৷

বিচারের মুখোমুখি ব্রাদারহুড

হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বুধবার নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের ৭১৫ সদস্যকে বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছে মিশরের আদালত৷ এদের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বাদিয়েও রয়েছেন৷ একই অপরাধে সোমবার ব্রাদারহুডের ৫২৯ জন কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত৷

২০১৩ সালের ১৪ অগাস্টে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ মিনায় সহিংসতা, হত্যার উসকানি, লোকজনের ওপর হামলা, সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে মুসলিম ব্রাদারহুডকে অভিযুক্ত করে৷ ঐসময় আন্দোলন দমনে ব্রাদারহুড কর্মীদের অবস্থানস্থলে অভিযান চালায় মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী৷ ওই অভিযানে ব্রাদারহুডের কয়েকশ' সদস্য নিহত হন৷ আর হাজার হাজার ব্রাদারহুড কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এই সহিংসতার জের ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্রাদারহুড সদস্যদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ মঙ্গলবার একই আদালতে আরো ৬৮৩ জন সদস্যের শুনানি হয়৷

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, একসঙ্গে এত মানুষকে প্রাণদণ্ড দেয়া আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী৷ এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জর্ডান সফরের সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন৷ মোহাম্মদ মুরসিও গত ৩রা জুলাই আটক হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন৷

এপিবি/এসবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য