1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরকে অস্ত্র বিক্রি নয়

সাবরিনা পাবস্ট/এসবি২৩ আগস্ট ২০১৩

মিশরে সামরিক বাহিনী ও মুসলিম ব্রাদারহুড-এর সমর্থকদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষের আঁচ ইউরোপেও পড়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আপাতত সে দেশকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/19Um0
GettyImages 176918003 An Egyptian soldier is seen manning an armoured personnel carrier (APC) outside the Egyptian Constitutional Court in Cairo on August 19, 2013, while militants elsewhere killed 25 policemen in the deadliest attack of its kind in years, as Egypt's army-installed rulers escalated a campaign to crush supporters of ousted president Mohamed Morsi's Muslim Brotherhood. The assailants fired rocket-propelled grenades at two buses carrying police in the Sinai Peninsula, sources said, just hours after 37 Brotherhood prisoners died in police custody. AFP PHOTO/KHALED DESOUKI (Photo credit should read KHALED DESOUKI/AFP/Getty Images)
ছবি: Khaled Desouki/AFP/Getty Images

ইইউ-র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিশরের জনগণের উপর দমন নীতি কার্যকর করতে প্রয়োগ করা হতে পারে, এমন অস্ত্র ও সরঞ্জাম রপ্তানি আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে৷ শুধু সামরিক বাহিনী নয়, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেও এমন সব মারাত্মক হাতিয়ার তুলে দিতে চায় না ইউরোপীয় দেশগুলি৷ অথচ এতকাল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মিশর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের লেনদেনের মাত্রা কম ছিল না৷ ২০১১ সালেই মিশরকে প্রায় ৩০ কোটি ৩০ লক্ষ ইউরো মূল্যের অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল ইইউ দেশগুলি৷ একই বছর ফ্রান্স ও স্পেন প্রায় ১০ কোটি ২০ লক্ষ ইউরো মূল্যের বিমান বিক্রি করেছিল মিশরকে৷

ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান এলমার ব্রক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড ও সামরিক বাহিনী – কোনো পক্ষেরই সহায়তা করা উচিত হবে না৷ তাঁর মতে, দুই পক্ষের কেউই সংলাপের জন্য প্রস্তুত নয়৷ তাই ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষে কিছু করার সম্ভাবনা খুবই সীমিত৷ তাছাড়া বর্তমান সংকটে যে মাত্রার আবেগ ও হিংসা দেখা যাচ্ছে, তাতে ইইউ কিছু প্রতীকী পদক্ষেপের মাধ্যমে কিছুই করতে পারবে না বলে মনে করেন ব্রক৷

‘মিশরের মানুষ চায় ইতিবাচক বার্তা'

এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও এলমার ব্রক মনে করেন, অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে ইইউ মিশরের পরিস্থিতি শান্ত করার ক্ষেত্রে একটি অবদান রেখেছে৷ এর ফলে যদি দুই পক্ষ হিংসা কমিয়ে সংলাপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তাহলে ভালোই হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ক্যাথরিন অ্যাশটন ১৭ ও ২৯শে জুলাই মিশর সফর করেছেন৷ দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু কোনো শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্র উঠে আসে নি৷ বরং হিংসা আরও বেড়ে গেছে৷ জার্মানি সহ কিছু দেশ মিশরের জন্য উন্নয়ন সাহায্য কমানোর কথা ভেবেছিল, কিন্তু তার ফলে সাধারণ মানুষের বেশি ক্ষতি হবে – এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে ইইউ প্রকল্পগুলি চালিয়ে গেলেই বরং মিশরের মানুষের কাছে সঠিক বার্তা যাবে বলে মনে করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আরেক সদস্য মিশায়েল গালার৷

ব্রাদারহুড আরও ব়্যাডিকাল হয়ে উঠলে বিপদ

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য মিশায়েল গালার আরও মনে করেন, মুসলিম ব্রাদারহুড-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠবে৷ তখন তাদের আরও ব়্যাডিকাল হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দেবে৷ তিনি চান, ইইউ মিশরের দুই বিবাদমান পক্ষের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিক৷ দুই পক্ষকেই জাতীয় স্বার্থে সংলাপের পথ খুঁজতে হবে এবং গণতন্ত্রের পথে ফিরে যেতে হবে৷ ইইউ কোনো পক্ষপাতিত্ব করবে না৷ মিশর যাতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, সেই কাজে মিশরের জনগণকে সহায়তা করা হবে৷

মিশরের উপর চাপ সৃষ্টি করার আরেকটি হাতিয়ারও আছে৷ সেটি হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী হিসেবে ইউরোপ মিশরের অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে আসতে পারে৷ উন্নয়ন সাহায্যের ক্ষেত্রেও মিশরের সবচেয়ে বড় সহযোগী ইইউ৷ ফলে মিশরের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ইইউ চাপ বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে বৈকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য