পাতানো খেলা
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২অনূর্ধ্ব-২০ প্রেসিডেন্টস কাপ আসরে পাতানো খেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর খেলোয়াড় ও কোচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের একজন কোচকে সারাজীবনের জন্য ফুটবল জগত থেকে বহিষ্কার করেছে এফএএম৷ ঐ কোচ গত বছর পাতানো খেলার জন্য খেলোয়াড়দের ঘুস প্রদানের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়৷
ফুটবল সংস্থার এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এফএএম এর উপ-প্রধান টেঙ্কু আব্দুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ বলেন, ‘‘এ পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এফএএম দৃঢ় হস্ত৷ আমি আশা করি যে, এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেশের সকল ফুটবল খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের জন্য একটি উচিত শিক্ষা হয়ে থাকবে৷ মালয়েশিয়ার ফুটবল অঙ্গনে আর কখনও পাতানো খেলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলেও আমার বিশ্বাস৷''
২০১০ এবং ২০১১ সালের প্রেসিডেন্টস কাপ আসরে খেলা পাতানোর জন্য খেলোয়াড়দেরকে সাত হাজার রিঙ্গিট তথা প্রায় আড়াই হাজার ডলার করে প্রদানের অপরাধে মালয়েশিয়ার আদালত উক্ত কোচ এবং সিঙ্গাপুরের এক দালালসহ তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে৷ এছাড়া অপর একটি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে উত্তরাঞ্চলের পের্লিস রাজ্যের নয় জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ৷
গত জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়ান সুপার লিগের খেলা পাতানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে৷ ইতিমধ্যে তারা স্বীকারও করেছে যে, একজন দালাল তাদের প্রত্যেককে খেলায় হারার জন্য এক লাখ রিঙ্গিট করে দিতে চেয়েছিল৷ এ ঘটনায় একজন খেলোয়াড়কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে৷
তবে পাতানো খেলার কেলেঙ্কারি মালয়েশিয়ার ফুটবল জগতে নতুন নয়৷ ১৯৯৪ সালে এমনই এক ঘটনায় ২১ জন খেলোয়াড় এবং কোচকে বহিষ্কার করা হয়েছিল৷ ৫৮ জন খেলোয়াড়কে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ১২৬ জন খেলোয়াড়কে৷ তবে সেই কেলেঙ্কারির ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই আবারো পাতানো খেলার ঘটনা দেশটির ফুটবল অঙ্গনকে কলঙ্কিত করল ৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক