1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালিক নারী

অ্যান্ড্রু ওয়াসিকে / জেডএইচ১০ এপ্রিল ২০১৩

বাংলাদেশে যেমন তৈরি পোশাক খাতে বিপুল সংখ্যক নারীশ্রমিক কাজ করেন, তেমনি কেনিয়াতে প্রায় আশি ভাগ খামারে চাষবাস করেন নারীরা৷ বিশ্বব্যাংক দিয়েছে এই তথ্য৷

https://p.dw.com/p/18CVD
Woman prepares maize field Consolata Nyaga, a smallholder farmer on the slopes of Mt Kenya, in the district of Embu, prepares her maize plot for planting. She does this all by hand using a hoe, and it is hard work. Her farm, or “garden”, consists of a hectare and a quarter of land, and includes milk cows, coffee, bananas, and beans. However, the most important crop is the half hectare of improved maize she grows every season.
ছবি: CC-BY-SA-cimmyt

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, প্রায় অর্ধেক নারীই এসব খামারের মালিক নন৷ মালিক হচ্ছেন তাঁদের স্বামীরা, যারা চাকরির আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে থাকছেন৷

জমির মালিকানা না থাকায় নারীদের নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ যেমন তাঁরা কোনো সমিতির সদস্য হতে পারছেন না৷ অথচ সেটা সম্ভব হলে ফসল উৎপাদন ও বিক্রি বাড়াতে সমিতি থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারতেন তাঁরা৷

Landwirtin Linda Okal arbeitet seit Jahren alleine. Wir sehen sie hier im Garten. Bild: Andrew Wasike, March 2013, Mbere Stadt, Kenia
প্রায় অর্ধেক নারীই এসব খামারের মালিক ননছবি: Andrew Wasike

এছাড়া জমির মালিকানা না থাকার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণও পাওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে উৎপাদন বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি কেনা এবং অন্য কারও সাহায্য নেয়ার মতো সুযোগ পাচ্ছেন না নারী কৃষকরা৷

২০১০ সালে সংবিধান সংশোধন করে নারীদের সমানাধিকার দেয়া হয়েছে৷ ফলে এখন তাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেতে পারেন এবং জমির মালিকও হতে পারেন৷

কিন্তু এই সংশোধিত আইন সম্পর্কে গ্রামের লোকজন এখনো তেমন কিছু জানে না৷ ফলে অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়৷

তবে নারী কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ কেনিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওবওবা কিপ্রোটিচ বলছেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে নারী কৃষকদের৷ এছাড়া তাঁরা যেন উৎপাদিত ফসলের সঠিক বাজার খুঁজে পান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷