1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার-অ্যামেরিকা

১৩ জুলাই ২০১২

মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অং সান সু চি’র দল৷ তবে বিরোধী নেতারা আরো স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছে, কেননা বিদেশি সংস্থাগুলো সেদেশের জ্বালানি খাতের উপর ক্ষুধার্ত দৃষ্টি ফেলছে৷

https://p.dw.com/p/15W0o
epa03301235 Myanmar democracy leader Aung San Suu Kyi (C) talks as she registers the attendance record at the Pyithu Hluttaw (lower house parliament) in Naypyitaw, Myanmar, 09 July 2012. It marked Aung San Suu Kyi's debut in parliament as opposition leader. EPA/NYEIN CHAN NAING
ছবি: picture-alliance/dpa

তেল এবং গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বুধবার সবুজ সংকেত দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ মিয়ানমারের উপর মার্কিনিদের আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরো শিথিল করে সেদেশে বিনিয়োগের এই পথ খুলে দেওয়া হয়েছে৷ চলতি সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যকার উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা নোবেল জয়ী অং সান সু চি মার্কিন এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন৷ সু চি বলেছেন, ‘মার্কিন এই উদ্যোগে বিশেষ অর্থপূর্ণ কোন ব্যাপার নেই৷'

বলাবাহুল্য, মিয়ানমারের সরকার নিয়ন্ত্রিত তেল এবং গ্যাস সংস্থা এমওজিএইচ'এর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উদ্বিগ্ন সু চি৷ তিনি এমওজিএইচ'এর উপর চাপ প্রয়োগ করতে বারংবার আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ এই সংস্থাটির সঙ্গে গতবছর ক্ষমতাত্যাগী সেদেশের জান্তা সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (পশ্চিমা সমাজ) কাছে আশা করেছিলাম তারা এমওজিএইচ'এর কাছে আরো স্বচ্ছতা দাবি করবে৷ কিন্তু আমি জানিনা তারা সেটা করেছে কিনা৷' সু চি চাচ্ছেন, সরকারের মালিকানাধীন এই সংস্থাটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল'এর আচরণবিধি মনে চলুক৷

মিয়ানমারের অর্থনীতির স্বার্থে সেদেশের উপর থেকে পশ্চিমা সমাজের কড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে সু চি'র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি, এনএলডি৷ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের মার্কিন সিদ্ধান্ত তাই সেদলের নীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নয়৷ এনএলডি মুখপাত্র নিয়ান উইন এই বিষয়ে বলেছেন, ‘এক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার কিছু নেই৷' বরং ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যা করা উচিত, সেদেশ তাই করেছে', এমনটাই মনে করেন উইন৷

মার্কিন এই সিদ্ধান্ত অবশ্য আরো একটি ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ সেটি হচ্ছে মিয়ানমারের বর্তমান সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনকে আরো উৎসাহ দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সাবেক এই জান্তা জেনারেল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর দেশে বেশকিছু নাটকীয় পরিবর্তন এনেছেন, যা পশ্চিমাদেরকে বিস্মিত করেছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বুধবার জানিয়েছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, অং সান সু চি এবং বার্মার সাধারণ জনগণ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে ধারবাহিকভাবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করছে৷ এবং সরকারও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে৷''

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন আজ শুক্রবার কম্বোডিয়ায় একটি বাণিজ্যিক সম্মেলনের ফাঁকে থেইন সেইন'এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন৷ মিয়ানমারের উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা৷ মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা জানিয়েছে এই তথ্য৷

প্রেসিডেন্ট সেইন বৃহস্পতিবার তাঁর দেশের উপর থেকে সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘আর্থিক এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার অত্যন্ত জরুরি৷ বর্তমানে মিয়ানমারে যে ধরনের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রয়োজন তা পেতে চাইলে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিকল্প নেই৷'

এআই/জেএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য