1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন নাগরিকের শিরশ্ছেদের প্রতিক্রিয়া

১৮ নভেম্বর ২০১৪

এবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সিরীয় শরণার্থীদের সেবায় আত্মনিবেদিত যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিককে হত্যা করলো আইএস৷ হত্যার পর ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে৷ নৃশংস এ ঘটনাকে ‘শয়তানের কাজ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন বারাক ওবামা৷

https://p.dw.com/p/1DoiE
Abdul-Rahman alias Peter Kassig
ছবি: picture alliance/AP Photo

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পিটার কাসিগ এর শিরশ্ছেদের ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ কাসিগ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, মুসলমান হিসেবে তাঁর নাম হয়েছিল আব্দুল রহমান কাসিগ৷ ইরাক যুদ্ধে অংশ নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের এ নাগরিক সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শরণার্থীদের চিকিৎসা-সামগ্রী এবং খাদ্য সরবরাহ করে আসছিলেন৷ মানবসেবামূলক এ কাজ তিনি একা করতেন না৷ ১৫০ জন সিরীয় নাগরিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদেরও নিয়োজিত করেছিলেন এ কাজে৷ গত বছর আব্দুল রহমান কাসিগকে ধরে নিয়ে যায় আইএস৷ রোববার প্রচার করা হয় শরীর থেকে মাথা কেটে ফেলে তাঁকে হত্যা করার ভিডিও৷ ভিডিওচিত্রটি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর দাবিক থেকে প্রচার করা হয়েছে৷ এই নিয়ে পশ্চিমা দেশের পাঁচ জন নাগরিককে হত্যা করল আইএস৷ আগের চারজনের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্রের আর বাকি দুজন ছিলেন ব্রিটেনের নাগরিক৷

Peter Kassig
‘ পিটার কারো সঙ্গে যুদ্ধ করছিলনা, কীভাবে মানুষকে বাঁচানো যায় ও শুধু তা শেখাচ্ছিল’ছবি: picture-alliance/AP/Kassig Family

এবারের ভিডিওতে আব্দুল রহমান কাসিগসহ কমপক্ষে ১৮ জনকে হত্যার দৃশ্য দেখিয়েছে আইএস৷ জঙ্গি সংগঠনটির দাবি, বাকি ১৭ জনের বেশিরভাগই সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্য৷ তবে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ২২ বছর বয়সি এক ফরাসি নাগরিকও রয়েছেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন৷

আগের চারবার ভিডিওচিত্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলোকে বিমান হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানালেও আইএস এবার তা করেনি৷ এবারও জঙ্গি সংগঠনটির মুখপাত্রের ভূমিকায় ছিলেন ব্রিটিশ উচ্চারণে ইংরেজি বলেন এমন একজন৷ আব্দুল রহমান কাসিগের লাশ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পিটার কাসিগ৷'' কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা আইএস যোদ্ধা জানান, তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সৈন্যদের স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছেন৷ আইএস-বিরোধী যুদ্ধে সফল হতে নিজেদের সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩ হাজার ১০০ করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র৷

পিটার কাসিগ এর আইএস যোদ্ধাদের হাতে নিহত হওয়ার খবরে তাঁর পরিবার শোকাভিভূত৷ তবে এক বিবৃতিতে তাঁর বাবা-মা বলেছেন, মানবসেবা করতে গিয়ে জঙ্গিদের হাতে নিহত হওয়া সন্তানকে নিয়ে তাঁরা গর্বিত৷ রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা চলছে বিশ্বজুড়ে৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘এমন কাজ শুধু শয়তানই করতে পারে৷' ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ এ ঘটনাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' আখ্যা দিয়ে বলেছে, এমন তৎপরতার বিরুদ্ধে আরো জোরদার অবস্থান নিতে হবে৷

কাসিগ যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যে থাকতেন৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার ইন্ডিয়ানার সব পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়৷

সিরিয়ার নাগরিক বুরহান মুসা আগা লেবাননে সিরীয় শরণার্থীদের শিবিরে আব্দুল রহমান কাসিগ এর সঙ্গে কাজ করেছেন৷ মানবদরদি বন্ধুর মৃত্যুতে তাঁর হৃদয়ও শোকার্ত৷ আব্দুল রহমান কাসিগ এর বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে বুরহান বলেছেন, ‘‘তাঁদের সন্তানকে আমার দেশে হত্যা করা হয়েছে বলে আমি বেশি দুঃখিত৷ ওরা (আইএস) পশু৷ ওরা কখনোই ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করেনা৷ পিটার তো কারো সঙ্গে যুদ্ধ করছিলনা, কীভাবে মানুষকে বাঁচানো যায় ও শুধু তা শেখাচ্ছিল৷''

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য