1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদকাসক্তি কমিয়ে দিচ্ছে মানুষের আয়ু

ফারজানা কবীর খান৩০ জানুয়ারি ২০০৯

নিষিদ্ধ সব কিছুর প্রতি মানুষের আকর্ষণ নাকি সবচেয়ে বেশী৷ বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের৷ ‘‘না’’ শব্দটি তাদের কাছে যেন আদম- হাওয়ার নিষিদ্ধ ফলের মতো৷

https://p.dw.com/p/Gk8g
সন্তানদেরকে পরিমিত মদ্যপানের ব্যাপারে অবহিত করতে, এই কার্যক্রম বাবা-মা দেরকে পথ দেখাবে৷ছবি: AP

আর এই কথাটির সত্যতা আবারো পাওয়া গেল যুক্তরাজ্য সরকারের দেয়া সুপারিশে৷ এই সুপারিশ গত বছরের একটি সরকারী প্রকাশনাকে অনুসরণ করছে৷ প্রকাশনায় বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশ সরকার তরুণদের মদ্যপান বিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে৷ সন্তানদেরকে পরিমিত মদ্যপানের ব্যাপারে অবহিত করতে, এই কার্যক্রম বাবা-মা দেরকে পথ দেখাবে৷

চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা দেখার পর বাবা-মা-দের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বক্তব্যে প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা লিয়াম ডোনাল্ডসন বলেছেন, ১৫ বছরের কম বয়স্ক ছেলে- মেয়েদের মদ্যপান থেকে বিরত রাখা উচিৎ৷ গত মঙ্গলবার তিনি একটি বার্তা সংস্থার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে এই কথা বলেন৷ তিনি যুবকদের মদ্যপান কমানোর জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন৷

লিয়াম ডোনাল্ডসন বলেছেন, প্রতি সপ্তাহে দশ লাখ ভাগের এক তৃতীয়াংশ ছেলে-মেয়ে, যাদের বয়সসীমা ১১ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে তারা নিয়মিত মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে৷

ডোনাল্ডসন বলেন যে, ‘‘এই সংখ্যাটি বিশাল এবং এজন্য আমাদের কিছু করা উচিৎ৷ একটি গবেষনায় দেখা গেছে যে, মদ্যপান এই বয়সের ছেলে-মেয়েদের মস্তিস্কের কাঠামো ও কাজে ভীষণ ভাবে ক্ষতি করে৷ তিনি আরো মনে করেন , মাদকাসক্ত হওয়ার খারাপ দিকগুলোর দিকে সন্তানদের নজর ফেরানোর দায়িত্বটা প্রথমে পরিবারকেই নিতে হবে৷ যাতে প্রাপ্তবয়স্ক হবার পরও , তারা মদকে নেশা হিসেবে না নেয় এবং সেদিকে ঝুঁকে না পড়ে''৷

জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনেই সবচেয়ে বেশী ছেলে-মেয়ে মাদকাসক্তির কারনে হাসপাতালে ভর্তি হয়৷ যাদের বয়স মাত্র ১৫ থেকে ১৬ বছর৷ ব্রিটিশ সরকারের তথ্য অনুসারে, ২০০৫ সাল থেকে মদ পানকারী মানুষের মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে৷ যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে৷