1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাত্রাতিরিক্ত টেক্সটিং, ফেসবুকিং শারীরিক ঝুঁকি বাড়ায়

১১ নভেম্বর ২০১০

অভিভাবকরা সাবধান৷ তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যারা মাত্রাতিরিক্তি খুদেবার্তা পাঠান কিংবা দিনের অনেক সময় ব্যয় করেন ফেসবুক টুইটারের পেছনে, তারা শারীরিকভাবে দুর্বল৷ বিশেষ করে এদের মাঝে ধূমপান, মদ্যপান এবং যৌনকর্মের প্রবণতা বেশি৷

https://p.dw.com/p/Q5hI
হাইপারটেক্সটিং থেকে বিরত থাকুন (ফাইল ফটো)ছবি: dpa

দ্য কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ স্কুল অব মেডিসিন-এর সাম্প্রতিক এক জরিপে পাওয়া গেছে এসব তথ্য৷ গবেষণাটিতে প্রতিদিন ১২০টি'র বেশি খুদেবার্তা পাঠানোকে গণ্য করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্তটেক্সটিং হিসেবে৷ একইসঙ্গে দিনে তিন ঘন্টার বেশি ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কে কাটানোকেও ধরা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্তনেটওয়ার্কিং হিসেবে৷

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব তরুণ-তরুণী মাত্রাতিরিক্ত খুদেবার্তা ব্যবহার করে তারা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মদ্যপান করে৷ আর সাড়ে তিনগুণ বেশি যৌনাসক্ত হয়৷ শুধু তাই নয় ধূমপানের বিবেচনায়ও স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি আসক্ত তারা৷ অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্তনেটওয়ার্কিং যারা করে তাদের মধ্যে ক্ষতির মাত্রা কম৷ তারপরও এদের মধ্যে যৌনতার আগ্রহ স্বাভাবিকের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি৷ এদের একেকজনের গড়ে যৌনসঙ্গী রয়েছে চারজনের বেশি৷

এই গবেষণার মূল গবেষক স্কট ফ্রাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছেন, আমরা সরাসরি বলতে পারিনা যে, তরুণদের অস্বাভাবিক শারীরিক আচরণের পেছনে মাত্রাতিরিক্ত টেক্সটিংই দায়ী৷ তবে দু'টোর মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়৷ এই গবেষণার কাজে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়েস্টার্ন অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের মাঝে সমীক্ষা চালানো হয়৷

এদিকে, মার্কিন মুল্লুকের শিক্ষাবিদদের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত ই-মেল আর খুদেবার্তার ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীরা ভাষা শেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে৷ বিশেষ করে ব্যাকরণে দুর্বল হয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্ম৷

অবশ্য অনেকে এই তত্ত্ব মানতে রাজি নন৷ বরং তাদের দাবি, ইন্টারনেট আসার আগেও ব্যাকরণে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা ছিল৷ তাই, সব দায় ইন্টারনেটের উপর বর্তায় না৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য