1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাঝ আকাশে চুরি!

২১ জুলাই ২০১০

‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, না পড়িলে ধরা’ – কিন্তু ধরা পড়ে গেছেন এয়ার ফ্রান্সের এক নারী বিমানকর্মী৷ বোঝা গেল, তিনি বিদ্যাটি ঠিকমতো রপ্ত করতে পারেননি৷ এখন মামলা হয়েছে৷ চাকরি হারানোসহ জেল-জরিমানার মুখেও এখন তিনি৷

https://p.dw.com/p/OQhp
আকাশেও সামলে রাখুন মালামাল!ছবি: AP

বিমান কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ফরাসি দৈনিক ‘ল্য ফিগারো' জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতেই চুরির বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে৷ এয়ার ফ্রান্সের টোকিওগামী একটি ফ্লাইটের পাঁচজন যাত্রী অভিযোগ করেন, তাদের বেশ কিছু মালামাল খোয়া গেছে৷ যার অর্থমূল্য ৪ হাজার ইউরো৷ যার মধ্যে নগদ অর্থ, ক্রেডিট কার্ড ছাড়া গহনাও রয়েছে৷ কিন্তু কে চোর, তা ধরা পড়ছিলো না৷ তবে তক্কে তক্কে ছিলো পুলিশ৷

এরপর আরো কয়েকটি চুরির ঘটনা প্রকাশ পেলে শুরু হয় চোর-পুলিশ খেলা৷ কোন কোন ফ্লাইটে চুরি হচ্ছে এবং ওইসব ফ্লাইটে কোন কোন বিমানকর্মী দায়িত্বে ছিলো, তার অনুসন্ধান চালিয়েই সনাক্ত করা হয় চোরকে৷ এরপর ওই গত রোববার বিমানকর্মীকে ধরে জেরা কর শুরু হলেই এক এক করে সব স্বীকার করেন তিনি৷ জানা গেল, একটি-দুটি নয়, ১৫০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি৷ আর এর শুরুটা হয়েছিলো ২০০৯ সালের মার্চ মাস থেকে৷ চুরির জন্য বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের দিকেই ছিলো তার নজর৷ আর বেশিরভাগ চুরিই করেছেন এশীয় – বিশেষ করে জাপানের যাত্রীদের কাছ থেকে৷

ফরাসি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার বিমানকর্মীর নাম লুসি আর, বয়স ৪৭ বছর৷ জিজ্ঞাসাবাদে লুসি জানিয়েছেন, জাপানিরা ক্রেডিট কার্ডের চেয়ে নগদ অর্থ নিয়ে চলাচল করতে পছন্দ করে বলে তাদের টার্গেট করেন তিনি৷ লুসির ব্যাংক হিসাবে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে, তা তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷ এছাড়া তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও পাওয়া যায় অনেক যাত্রীর ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকের চেক বই৷

কেন চুরি করেছেন – পুলিশের এই প্রশ্নে লুসি জানায়, অর্থকড়ির টানাটানিই তাকে এই কাজটি করতে প্ররোচিত করেছে৷ নিজের আর্থিক সঙ্কটের জন্য বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাকে দায়ী করেছেন তিনি৷ মন্দা কাটার লক্ষণ দেখা গেলেও তা যে পুরোপুরি কেটে গেছে, তা এখনো হলফ করে বলতে চাইছেন না অর্থনীতিবিদরা৷ তাই এয়ার ফ্রান্সে ভ্রমণে যাত্রীদের, বিশেষ করে জাপানিদের একটু সতর্ক থাকাই উচিত৷ কারণ লুসির পথ যদি আবার কেউ অনুসরণ করে!

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন