1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাত্মা গান্ধীর অন্তরঙ্গ জীবন নিয়ে নতুন বই

২৬ এপ্রিল ২০১০

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক মহাত্মা গান্ধীর অন্তরঙ্গ জীবন নিয়ে ব্রিটেনে প্রকাশিত হয়েছে একটি বই৷ নাম ‘‘গান্ধী : নেকেড অ্যামবিশন’’৷ এবার বইটি ভারতে প্রকাশিত হলে, তা নিয়ে যে প্রবল বিতর্কের ঝড় উঠবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই৷

https://p.dw.com/p/N72Q
ছবি: AP

বইটি লিখেছেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেড অ্যাডামস৷ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধীর ছিল আধ্যাত্মিক এক জীবন৷ পার্থিব ভোগসুখের ব্যাপারগুলোকে তিনি প্রতিরোধ করেছেন৷ জনমনে তাঁর এই ভাবমূর্তিটিই উজ্জ্বল৷ কিন্তু লেখক অ্যাডামস সেই দিকটি সম্পর্কেই নতুন করে আলোকপাত করতে সচেষ্ট হয়েছেন৷ নিজের যৌন চাহিদা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কতটুকু সেটা প্রমাণ করার জন্য তিনি বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেছেন৷ সেই সব চেষ্টার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে৷

বইটির লেখক অ্যাডামস তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন, মহাত্মা গান্ধী ১৩ বছর বয়সে বিয়ে করেন এবং তাঁর চারটি সন্তান হয়৷ কিন্তু এরপর একসময় তিনি যৌন চাহিদাহীন জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন এবং তাঁর আশ্রমে থাকা অনুসারীদেরও তিনি যৌনজীবন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন৷ এমনকি বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীদেরও তিনি যৌনমিলন থেকে বিরত থাকার কথা বলতেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডামস৷ গান্ধীর প্রয়াণের ৬০ বছরেরও বেশি সময় পর অ্যাডামস মহাত্মার লেখা শত শত পাতা খুঁটিয়ে পড়েছেন৷ পড়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের বহু বিবরণ৷ তারই ভিত্তিতে তাঁর এই বই৷

Mahatma Gandhi
নিজ আশ্রমে গান্ধীছবি: AP

মহাত্মা গান্ধী পুরোপুরি যৌন সম্পর্কহীন এক জীবন চালানোর লক্ষ্য অর্জনে তাঁর নানা পরীক্ষার কথা নিজেই লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে৷ এবং অত্যন্ত অকপট ভঙ্গিতে৷ বহু চিঠিতে এবং সংলাপেও এই সব পরীক্ষার উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডামস৷

গান্ধী নিজের যৌন সম্পর্কহীন জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন সেরকম কোনো প্রমাণ তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বইটির লেখক অ্যাডামস৷ তিনি বিশ্বাস করেন যে, গান্ধীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এক ধরণের মজার খেলা ছিল৷ যেখানে দৈহিক মিলনের কোন ভূমিকা ছিল না৷ গান্ধী কেবল দেখতে চেয়েছিলেন, যে যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না৷ কারণ, তিনি মনে করতেন এটা একটা শক্তিশালী বিষয়৷

অ্যাডামস বলেন, গান্ধী যখন বেঁচে ছিলেন তখন এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হতো৷ কিন্তু, তিনি নিহত হওয়ার পর সব বন্ধ হয়ে যায়৷ কারণ, তাঁকে একটি জাতির প্রতীক পুরুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং গবেষণা ফেলো অ্যাডামস এর আগে নেহেরু পরিবার সহ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনী লিখেছেন৷

প্রতিবেদক : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক