1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে

টরস্টেন টাইশমান/জেডএইচ২০ নভেম্বর ২০১৪

জেরুজালেমের সিনাগগে হামলার ঘটনা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে৷ কে এমন অর্থহীন হত্যা বন্ধ করতে পারে – সেটাই এবার জানার চেষ্টা করেছেন ডয়চে ভেলের টরস্টেন টাইশমান৷ পড়ুন তাঁর সংবাদভাষ্য৷

https://p.dw.com/p/1DqEz
Anschlag auf eine Synagoge in Jerusalem 18.11.2014
ছবি: Reuters/R. Zvulun

জেরুজালেমের ঘটনা এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, সহিংসতার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্ব চলতে পারেনা, এমনকি একদিনের জন্যও নয়৷ এটা দু'পক্ষের জন্যই সত্য৷ তাছাড়া সিনাগগ সহ যে-কোনো স্থানের উপর হামলা একটা ভয় বাড়িয়ে দেয়; সেটা হচ্ছে, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না, যদি ধর্মীয় সংঘাত সেই চেষ্টাকে ম্লান করে দেয়৷

জেরুজালেমের হার নোফ এলাকার সিনাগগে হত্যার ঘটনা ছিল নৃশংস ও অর্থহীন৷ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এই হত্যাকাণ্ডের প্রশংসা করেছে এই বলে যে, তারা নিজেরাও ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ এটা অবিশ্বাস্য ও অদ্ভুত৷ ‘মানুষের আচরণে হত্যার কোনো স্থান নেই,' বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি৷ তিনি ঠিকই বলেছেন৷

দু'পক্ষেরই প্রতিশোধের আহ্বান

হামলার ঘটনাকে সমর্থন জানিয়ে দেয়া বিবৃতি বলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা কতটা নৃশংস ও অমানবিক রূপ ধারণ করেছে৷ প্রতিশোধ ও সব ফিলিস্তিনিকে শাস্তি দিতে ডানপন্থি ইসরায়েলি ইহুদিদের দেয়া ডাক, সেটার একটা প্রমাণ৷

বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত করতে এর কোনোটাই কাজে দেবে না৷ এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজনীতিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে৷ কিন্তু সেটা হচ্ছে না৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এই হামলার জন্য ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে দায়ী করেছেন৷ কারণ তিনি (আব্বাস) ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঘৃণা টিকিয়ে রাখতে এবং এ ধরনের হামলা চালাতে উৎসাহ দিচ্ছেন বলে নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন৷ ইসরায়েলের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী নাফতালি বেনেট আব্বাসকে ফিলিস্তিনের অন্যতম বড় সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ এসব মন্তব্য করা হয়েছে ঘরোয়া রাজনীতিতে ডানপন্থিদের ভোট পাওয়ার জন্য৷

বাস্তবতা সম্পর্কে ইসরায়েলের যে ভাবনাচিন্তা, এসব অভিযোগ তার সঙ্গে মেলে না৷ ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান শিন বেট সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন এবং রাজনৈতিক নেতারা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যে অসংগতি পাওয়া গেছে৷ কারণ তিনি মনে করেন আব্বাস সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছেন না৷ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জেরুসালেমে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন৷ এছাড়া তিনি সাধারণ জনগণকে হত্যার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন, সেটা যেই করুক না কেন৷

Deutschland Bayerischer Rundfunk Torsten Teichmann
টরস্টেন টাইশমানছবি: BR/Theresa Högner

তবে আব্বাসকে নিজের কাছেই প্রশ্ন করতে হবে, যে-কোনো মূল্যে আল-আকসা মসজিদকে রক্ষা করার তাঁর যে আহ্বান, সেটা পরিস্থিতি শান্ত করতে সহায়ক হবে কিনা৷ ইসরায়েলের কট্টরপন্থি সরকার এই পবিত্র স্থানকে আবারও দুই ভাগ করে ফেলে কিনা, সে ব্যাপারে কি তিনি সত্যিই উদ্বিগ্ন? নাকি নেতানিয়াহু জর্ডানের কাছে অনুনয় করুক, সেটা চান তিনি?

চাপে নেতানিয়াহু ও আব্বাস

অভ্যন্তরীণ চাপ দুই অঞ্চলের প্রতিদিনকার কাজকর্ম ব্যাহত করছে৷ সমস্যার সমাধানে রাজনীতি যে একটু বেশি কিছু করবে, সেটা হচ্ছে না৷ ফিলিস্তিন সহ তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে সবধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন নেতানিয়াহু৷ অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস গাজার উপর থেকে হামাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন৷

ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের চাওয়ার মধ্যে একটা বিষয়ের মিল রয়েছে৷ সেটা হচ্ছে নিরাপদভাবে বাঁচা৷ নিজেদের মধ্যে আপোশের মাধ্যমে সেটা অর্জন করতে পারে দুই পক্ষই৷ বর্তমানে তারা যেভাবে চলছেন সেটা তাদের সম্পূর্ণ অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র রাজনীতি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য