1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষ পাঠানোর রকেট

২৯ আগস্ট ২০১৪

স্পেস শাটল বা মহাকাশফেরি কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার পর থেকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বেশ সমস্যায় পড়েছিল৷ এবার নতুন প্রজন্মের রকেট সেই দুর্বলতা কাটাতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1D3BU
NASA Sonde Dawn
ছবি: picture-alliance/dpa

২০১৮ সালে প্রথম বার মহাকাশে পাড়ি দেবে এই রকেট৷ পোশাকি নাম ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম' বা এসএলএস৷ তার একটি সংস্করণের ওজন প্রায় প্রায় ৭০ মেট্রিক টন৷ তার ধাক্কায় প্রায় ১৩০ মেট্রিক টন মহাকাশে পাঠানো যাবে, যেমনটা এতকাল সম্ভব ছিল না৷ বিপুল শক্তিতে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে দ্রুত মহাকাশের গভীরে নিয়ে যেতে পারবে এই রকেট৷ ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ ফলে এই প্রথম সৌরজগতের আরও গভীরে যাবার স্বপ্ন দেখতে পারে মানুষ৷

তবে শুধু শক্তিশালী রকেট থাকলেই চলবে না, চাই বহুদূর যাবার উপযুক্ত মহাকাশযানও৷ তাই আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ‘ওরিয়ন মাল্টিপার্পাস ক্রু ভেহিকেল'নামের যান তৈরির কাজ চলছে৷ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই সেটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে৷

এসএলএস রকেটের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে৷ এর মধ্যে বেশ অগ্রগতি ঘটেছে৷ তবে ২০১৮ সালের নভেম্বরের আগে রকেটটি আকাশে ওড়ার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে নাসা৷ গত ৪০ বছরে নাসা এত বড় আকারের ‘হেভি লিফট লঞ্চ ভেহিকেল' তৈরি করেনি৷ প্রথম এর তিনটি সংস্করণ তৈরি করতে প্রায় ১,২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলে নাসা অনুমান করছে৷ তবে যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ সরকারি ব্যয়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্বে রয়েছে, সেই জিএও নাসার এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছে৷ তাদের অভিযোগ, নাসার ‘কনস্টেলেশন' নামের বাতিল হয়ে যাওয়া একটি প্রকল্প থেকে হার্ডওয়্যার নতুন প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ নাসা জানিয়েছে, তারা এই অভিযোগের জবাব দেবে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য