ভোলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবি
২৮ নভেম্বর ২০০৯তবে ভোলার স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা ৩৬টি৷ এখনও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক যাত্রী৷ এরা সবাই ঈদ-উল-আজহা উদযাপরেন জন্য বাড়ি ফিরছিলো৷ জোয়ারের কারনে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি৷ উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা বরিশাল থেকে ঘটনাস্ট'লে গিয়ে পৌঁছতে পারেনি৷
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এম ভি কোকো-৪ নামের ওই লঞ্চটি দেড় সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার সদরঘাট থেকে শুক্রবার সকালে ছেড়ে যায়৷ রাত ১১টার দিকে ভোলার লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর নামক স্থানে তেতুলিয়ার নদীতে একটি ডুবো চরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটির তলা ফেটে যায়৷ চালক দ্রুত লঞ্চটিকে তীরে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন৷ ততক্ষনে লঞ্চের মধ্যে পানি ঢুকে পড়লে সেটি একদিকে হেলে পড়ে৷ নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের আহাজারিতে তেতুলিয়ার নদীর তীর ভারি হয়ে উঠেছে৷ অনেকে স্বজনকে খুঁজে না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷
লঞ্চ থেকে বেঁচে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, কেবিনের মধ্যে এখনও আটকে আছে বহু যাত্রী৷ তারা কেবিনের বাইরে অবস্থান করায় সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন৷ ভোলার সহকারী কমিশনার নুরুউদ্দিন আল ফারুক শনিবার টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, উদ্ধার করা লাশের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু৷ উদ্ধার অভিযান চলছে৷
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা পালিত হয়েছে৷ গতকাল ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে৷ রাষ্ট্রপতি মন্ত্রী পরিষদের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় ঈদগায়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন৷ এসময় ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন৷
প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম