1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা – প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্ট

২১ জুন ২০১০

ভারতে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার রায় বের হবার পর আমজনতার ক্ষোভ এবং রাজনৈতিক চাপের মুখে ৯-সদস্যের মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী এমাসের প্রথম দিকে৷

https://p.dw.com/p/NzAm
প্রবল প্রতিবাদের মুখে সরকার নড়েচড়ে বসেছেছবি: AP

কমিটির নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সোমবার তাঁর রিপোর্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে৷ রিপোর্টে বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে আছে ত্রাণ, ক্ষতিপূরণ ও আইনি ব্যবস্থা৷

মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্টের সুপারিশগুলি বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন আগামী শুক্রবার ২৫শে জুন৷ প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবার আগে আজ সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ যার মধ্যে আছে ত্রাণ, ক্ষতিপূরণ, ইউনিয়ন কার্বাইডের তৎকালীন প্রধান এ্যান্ডারসনের প্রত্যর্পণসহ আইনি ইস্যু৷ মূল লক্ষ, ভবিষ্যতে এই ধরণের বিপর্যয় রোধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার প্রতিকার৷

বর্ধিত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫০০ কোটি টাকার এক প্যাকেজের সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে৷ গ্যাস দুর্ঘটনায় যাঁরা গুরুতর অসুস্থ এবং মৃতদের পরিবারের প্রত্যেককে সরকার দেবেন ১০ লাখ টাকা করে৷ ইউনিয়ন কার্বাইডের পরিত্যক্ত কারখানার ৬৭ একর জমি থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ সরিয়ে ফেলা হবে৷ এই কাজের দায়িত্ব নেবে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷ কারিগরি ও আর্থিক সাহায্য দেবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ খরচ ধরা হয় ৩০০ কোটি টাকা৷ উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা স্থল থেকে সরাতে হবে প্রায় ১০ লাখ টন বিষাক্ত মাটি, ৪৪ হাজার কেজি আলকাতরা ও ২৫ হাজার কেজি আলফা ন্যাপথল৷ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মতে, এখনো ৩৯০ টন বিষাক্ত রাসায়নিক আজও খোলা পড়ে আছে৷ তা থেকে দূষণ ও সংক্রমণ অব্যাহত৷

ভোপাল গ্যাস দুর্গতরা কিন্তু এই সুপারিশে খুশি নয়৷ তাঁরা আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিক্ষোভ দেখায়৷ গ্যাস দুর্গতদের জন্য আন্দোলনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তাব্যক্তি সতীনাথ সারাঙ্গি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের সংশয় এখনও দূর হয়নি৷ ডো কেমিক্যালসের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে তা স্পষ্ট নয়৷ কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণের জন্য সরকার ডো কেমিক্যালস-এর কাছে চেয়েছিল ১০০ কোটি টাকা৷ কিন্তু গত পাঁচ বছরে এক পয়সাও পায়নি৷ উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পর ঐ কারখানা কিনে নেয় ডো কেমিক্যালস৷ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি মনে করে , বিষাক্ত বর্জ্য সরানোর টাকা সরকার কেন দেবে করদাতাদের টাকা থেকে৷ কারখানার পরিত্যক্ত জমিতে হিরোশিমা মেমোরিয়ালের আদলে গড়ে তোলা হবে এক স্মারক স্থল৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন