1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষ কর্মী

৪ নভেম্বর ২০১২

একদিকে জার্মানিতে অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ পারদর্শী কর্মীর অভাব দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ-তরুণীর সংখ্যা বাড়ছে৷ জার্মান কোম্পানিগুলি তার পূর্ণ সুযোগ নিতে চাইছে৷

https://p.dw.com/p/16ced
Blick auf die Zentrale der Deutschen Gesellschaft für Internationale Zusammenarbeit (GIZ) in Eschborn am Dienstag (23.08.2011). Die GIZ bündelt deutsches Know-how in der Entwicklungszusammenarbeit. Sie ist aus der Gesellschaft für Internationale Zusammenarbeit (GTZ), dem Deutschen Entwicklungsdienst (DED) und der Bildungsagentur Inwent hervorgegangen und nahm ihre Arbeit im Januar 2011 auf. Seit Freitag (19.08.2011) werden zwei Deutsche in Afghanistan vermisst, von denen einer bei der GIZ arbeiten soll. Foto: Frank Rumpenhorst dpa/lhe
ছবি: picture-alliance/dpa

তাঁরা সবাই সফটওয়্যার প্রোগ্রামার, জৈব রসায়ন বিশেষজ্ঞ, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার৷ এসেছেন ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷ জার্মানিতে কাজ করতে দিব্যি ভালো লাগছে৷ ‘মেক ইট ইন জার্মানি' নামে এক বিজ্ঞাপনী ছবিতে উৎসাহে ভরপুর এই সব বিদেশিরা এমন কথাই বলছেন৷ ছবিটি তৈরি করেছে জার্মান সরকার ও জার্মান কর্মসংস্থান দপ্তর৷ বিদেশি দক্ষ কর্মী হিসেবে জার্মানিতে বসবাস ও কাজের অভিজ্ঞতার নানা উদাহরণ উঠে এসেছে৷

‘‘আমি জার্মানিতে থাকতে পছন্দ করি৷ ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে এখানে আমার বিকাশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল৷''

‘‘ওয়েল্ডিং করার সময় যে রোবোট লাগে, আমি তার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা শিখেছি, আমি তা কাজে লাগাতে পারছি৷ এর মধ্যে আমি জার্মান সমাজে বেশ সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছি৷ এখানকার ভিয়েতনামি সমাজের সঙ্গেও আমার বেশ যোগাযোগ হয়েছে৷''

স্পেনের মারিয়া বা ভিয়েতনামের টুং'এর মতো উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিদেশি কর্মীদের জার্মান কোম্পানিগুলি লুফে নিয়েছে৷ শুধু বড় বড় কোম্পানি নয়, ছোট বা মাঝারি মাপের কোম্পানিগুলি জার্মানিতে সহজে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী খুঁজে পাচ্ছে না৷ অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী ফিলিপ ব়্যোসলার এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘কোম্পানিগুলিকে যখন প্রশ্ন করা হয়, জার্মানিতে প্রবৃদ্ধির পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় কী – তখন বার বার একটা কথাই শোনা যায়৷ তারা বলে, চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না৷ এই প্রেক্ষাপটে নানা তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তবে মোটামুটি ধরে নেওয়া যেতে পারে, যে জার্মান কোম্পানিগুলি বছরে প্রায় ২ লক্ষ এমন দক্ষ কর্মীর খোঁজ করে৷''

Mr Enamul Haque, Assistant Director of RDF, partner organization of GIZ, has sent us these photos and authorised DW to use it. Hilfe von GIZ für Landwirtschaft für SIDR Offer in Borguna, Bangladesch Datum: 13.02.2012 Copyright: RDF Geliefert von Enamul Haque (RDF) via Ahm Abdul Hai (DW)
বাংলাদেশের বরগুনায় জিআইজেড এর কর্মসূচীছবি: RDF

কয়েক মাস আগে একটি ইন্টারনেট পোর্টাল খোলা হয়েছে, যার নাম ‘মার্কেট ইন জার্মানি'৷ এর মধ্যে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি ব্যবহারকারী সেই ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখেছে৷ তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই বিদেশি৷

জার্মানিতে গিয়ে কাজ করতে গেলে কী কী করতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাঁচটি ধাপে দেওয়া হয়েছে৷ প্রথমে চাকরির খোঁজ পাওয়া, তারপর ভিসার ব্যবস্থা করা৷ এ সব হয়ে গলে ভিটে-মাটি ছেড়ে জার্মানিতে বসবাস করার প্রস্তুতি৷ তারপর সপরিবারে জার্মান সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে৷ ওয়েবসাইট ছাড়াও ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে আলাদা দপ্তর খোলা হয়েছে, যেখানে আগ্রহী কর্মীরা সরাসরি যোগাযোগ করে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন৷ জিআইজেড – বা জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা এইভাবে সম্ভাব্য অভিবাসীদের জন্য এক সামগ্রিক প্যাকেজ তৈরি করেছে৷ জিআইজেড'এর পরিচালকমণ্ডলীর সদস্যা তানিয়া গ্যোনার এ প্রসঙ্গে বললেন, যে শুধু সঠিক চাকরি পেলেই চলে না, আরও অনেক বিষয় মনে রাখতে হয়৷ তাঁর মতে, ‘‘দেখতে হয়, কোম্পানি এমন প্রার্থীর জন্য যথেষ্ট বেতন দিচ্ছে কি না৷ কাজ শুরু করার আগেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হয়৷ তারপর সমাজে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টির দিকেও নজর দিতে হয়৷ কারণ আমরা চাই, শুধু কর্মস্থল হিসেবে নয় – কর্মীরা যেন জার্মানিকে নিজের দেশ হিসেবে মেনে নিতে পারে৷ আমার মতে, যারা জার্মানি আসছেন, তাদের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷''

দক্ষ বিদেশি কর্মীদের পেলে জার্মানির উপকার হয় ঠিকই, কিন্তু তার ফলে কি সেই সব দেশের ক্ষতি হচ্ছে না, যেখান থেকে সেরা মগজগুলিকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে? জিআইজেড বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখতে চায়৷ যেমন এই প্রকল্পের জন্য ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, এই তিন দেশের জনসংখ্যার মধ্যে তরুণ-তরুণীদের অনুপাত বেশি৷ জার্মানিতে যে সব পেশায় কর্মীর চাহিদা রয়েছে, এ সব দেশে তেমন কর্মীর কোনো অভাব নেই৷ উল্টে এমন কর্মীদের কর্মসংস্থানে সমস্যা হচ্ছে৷

তাছাড়া এমন কর্মীরা বিদেশে গিয়ে বসবাস করলে তাদের মাধ্যমে প্রযুক্তি হস্তান্তর, তাদের রেমিটেন্স ইত্যাদি কারণে দেশের উপকার হয়৷ যারা কয়েক বছর বিদেশে থেকে দেশে ফিরে যায়, তাদের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগানো যায়৷ এই প্রক্রিয়াকে টেকসই অভিবাসনও বলা হয়৷ অর্থাৎ জিআইজেড একে ‘উইন-উইন সিচুয়েশন' বলে, যার মাধ্যমে দুই পক্ষই উপকৃত হয়৷ বসনিয়া হ্যারৎসোগোভিনা, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশের ক্ষেত্রে এমন দৃষ্টান্ত দেখা গেছে৷

প্রতিবেদন: সাবিনে কিংকারৎস/এসবি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য