1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-ইইউ অবাধ বাণিজ্য চুক্তি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৫ এপ্রিল ২০১৩

সোমবার ব্রাসেলস-এ ভারত-ইইউ অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আনন্দ শর্মা আলোচনায় বসেছেন ইইউ বাণিজ্য কমিশনার ও অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে৷ আলোচনা ইতিবাচক পথেই এগিয়ে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/18G7L
ছবি: AP

ভারত এবং ২৭টি ইউরোপীয় দেশের ইউনিয়নের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে গত ছয় বছর ধরে ১৬ দফা বৈঠক হয়েছে, কিন্তু ঐকমত্যে আসা সম্ভব হয়নি৷ বলা হচ্ছে, এই বছরের মধ্যেই এই চুক্তি চূড়ান্ত করতে হবে, নইলে তা বাতিল হয়ে যাবে৷ তাই ইইউ সদর দপ্তর ব্রাসেলস-এ শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এফটিএ নিয়ে শেষ পর্যায়ের আলোচনায় বসেছেন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আনন্দ শর্মা৷ জানা গেছে, আলোচনা ইতিবাচক পথেই এগিয়ে চলেছে৷

ভারত-ইইউ অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে ভারতের কতটা লাভ বা ক্ষতি হবে, তা নিয়ে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক মূলত তিনটি৷ এক, তৈরি মোটর গাড়ি সরাসরি ভারতের বাজারে বিক্রি করতে চায় ইইউ দেশগুলি, তার জন্য আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশ কম করার দাবি৷ দুই, বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধসীমা বর্তমানের ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করতে হবে ৪৯ শতাংশ৷ তিন, মেধাস্বত্ত্ব সুরক্ষার গ্যারান্টি দিতে হবে৷

ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মহলের মতে সামগ্রিকভাবে এই চুক্তি ভারতের বাণিজ্যিক স্বার্থের অনুকূল হবে না৷ এক নম্বর আপত্তি, বিদেশের তৈরি মোটরগাড়ির ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি কম করলে অভ্যন্তরীণ গাড়ি বাজার মার খাবে দারুণভাবে৷ ভারতে যৌথ সহযোগিতা হ্রাস পাবে৷ কর্ম সংস্থানের পরিসর হবে সংকুচিত৷ দুই, মার খাবে ভারতের ডেয়ারি শিল্প৷ ইউরোপে ভরতুকি দেয়ার ফলে অপেক্ষাকৃত কম দামে ইউরোপের ডেয়ারি সামগ্রীতে ভরে যাবে ভারতের বাজার৷ তিন, বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিযোগের ঊর্ধসীমা ৪৯ শতাংশ করলে দেশীয় বিমা কোম্পানিগুলি পড়বে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে৷ ইইউ-এর দাবি, মেধাস্বত্ত্ব আরো কড়া করলে বা পেটেন্ট নিয়মবিধি সংশোধন করলে দেশীয় জিনারিক ওষুধপত্রের খুচরো দাম অনেক বেড়ে যাবে৷ উল্লেখ্য, নোভার্টিসের ক্যান্সারের ওষুধ গিলভেকের পেটেন্ট স্বত্ত্ব সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়ে জার্মানির বেয়ার কোম্পানির ক্যান্সার ওষুধ নেক্সাভার-এর জিনারিক কপি তৈরির অনুমতি দিয়েছে দেশের ন্যাটকো ফার্মাকে সংস্থাকে৷

এফটিএ হলে ভারতের সবটাই লোকসান, একথা মনে করেন না বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রতন খাসনবিশ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, লাভের দিকটা হলো, ইউরোপে পরিষেবা ক্ষেত্রে ভারতের উপস্থিতি বাড়বে অনেকগুণ বেশি৷ এক লাফে বাড়বে ভারতের জিডিপির ৪৩ শতাংশ৷ সামগ্রিকভাবে ভারতের লাভ বই লোকসান হবে না৷ জার্মানি মনে করে স্বার্থ রক্ষিত হবে দু'পক্ষেরই সমান সমান৷ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারত-ইইউ বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯০ বিলিয়ন ইউরো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য