1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৯ এপ্রিল ২০১৩

ভারতে কয়লা ব্লক বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই-এর তদন্ত রিপোট সুপ্রিম কোর্টে পেশ করার আগে আইনমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছিল বলে এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/18OHd
ছবি: AP

কোল-গেট কেলেঙ্কারি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই-এর তদন্ত রিপোর্ট প্রথমে আদালতে পেশ করতে হবে এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট৷ কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে আইনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং কয়লা মন্ত্রকের আমলাদের চাপে খসড়া রিপোর্ট প্রথমে তাদের দেখানো হয় এবং তারপর রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়৷ সুপ্রুম কোর্টকে দেয়া এক হলফনামায় একথা স্বয়ং স্বীকার করেছেন সিবিআই-এর পরিচালক৷ সবথেকে বড় কথা, যে কয়লা মন্ত্রকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্ত রিপোর্ট সেই মন্ত্রকের আমলাদের আগেভাগে দেখানো ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে এক প্রহসনে পরিণত করেছে৷

এই হলফনামা সরকারকে ফেলেছে দারুণ অস্বস্তিতে৷ এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী অবস্থান নেয় সকলের চোখ এখন সে দিকে৷ অন্যদিকে সিবিআই-এর হলফনামা বিজেপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির হাতে তুলে দিয়েছে মোক্ষম হাতিয়ার৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো যে স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয়, সরকারের হাতের পুতুল - বিরোধীদের এই অভিযোগ আরো জোরেশোরে উঠেছে৷

দাবি উঠেছে খসড়া রিপোর্ট এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট দুটিই প্রকাশ করতে হবে যাতে খতিয়ে দেখা যায় কোনো কারচুপি হয়েছে কিনা৷ পাশাপাশি অবিলম্বে আইনমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করা হয়েছে৷ না হলে সংসদ চলতে দেয়া হবে না৷ প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আইনমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি নাকচ করে বলেছেন বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন৷

টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনের দুর্নীতির তদন্তে গঠিত সিবিআই এবং যৌথ সংসদীয় কমিটির কংগ্রেস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে৷ বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন, এটা কোনো নতুন ঘটনা নয়৷ সব শাসক দলই কোনো না কোনোভাবে সিবিআইকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে থাকে৷ তবে কালির ছিটাটা কংগ্রেস সরকারের গায়ে বেশি৷ রাজনৈতিক স্বার্থে সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়েম সিং, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বা জগমোহন রেড্ডিকে সিবিআই জুজু দেখিয়ে বশে রাখতে পেরেছে মনমোহন সিং সরকার৷

সিবিআই-এর তদন্তের অভিমুখ স্থির হয় কেন্দ্রের রাজনৈতিক স্বার্থের মুখ চেয়ে, এমনটাই অভিযোগ৷সেজন্যই কী সিবিআইকে লোকাযুক্তের অধীনে আনতে আপত্তি করেছিল সরকার? সিবিআই-এর শীর্ষ কর্তারা অবসর গ্রহণের পর যাতে লোভনীয় পদে পুনর্বাসিত হয়, তারজন্য তাঁরাও সরকারকে বাঁচাতে চেষ্টা করে৷ সিবিআই-এর অবসরপ্রাপ্ত এক অধিকর্তাকে সম্প্রতি নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল করা হয়৷ আদালত তাই অবসর পরবর্তীকালে এই ধরণের নিয়োগ বন্ধ করার সুপারিশ করেন৷ না হলে জাতীয় জীবনের নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা থাকে না মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য