1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশন২৭২+

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৬ ডিসেম্বর ২০১৩

আর মাস চারেকের মধ্যে ভারতে সাধারণ নির্বাচন৷ কংগ্রেস ও বিজেপি নির্বাচনি লড়াই-এর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে৷ মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরে বিজেপি হাতে নিয়েছে ‘মিশন২৭২+’ অভিযান৷ বসে নেই কংগ্রেসও৷

https://p.dw.com/p/1Agle
Indien - Bharatiya Janta Party
ছবি: Getty Images

হালের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সাফল্য হাতে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি আর দেরি না করে নেমে পড়েছে ভোট ময়দানে৷ দেশব্যাপী শুরু করে দিয়েছে ‘মিশন২৭২+' প্রচার অভিযান৷ একক শক্তিতে সরকার গড়তে হলে সংসদের মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে পেতে হবে ন্যূনতম ২৭২টি আসন৷ স্লোগান হবে মোদী চয়নিত ‘ভোট ফর ইন্ডিয়া'৷

প্রচারণায় বিজেপির হাতিয়ার হবে কংগ্রেস শাসনের দুর্নীতি ইস্যু৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর বার্তা গোটা দেশে ৬০ দিনের প্রথম পর্যায়ে ১০ কোটি ভোটারের দরজায় পৌঁছে দেয়া হবে৷ প্রচারের অংশ হিসেবে অর্থ সংগ্রহের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে ‘এক ভোট, এক নোট' কর্মসূচি৷ বিজেপিপন্থিদের কাছ থেকে নেয়া হবে ১০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত৷

বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনি প্রচার অভিযান কমিটি, সংসদীয় কমিটি এবং বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের দীর্ঘ অধিবেশনে ঠিক হয়েছে যে, প্রার্থী নির্বাচনে চারশটি সংসদীয় কেন্দ্রে পাড়ায় পাড়ায় জনসভা করা হবে৷ দলের ভবিষ্যতদর্শী সনদ রচনা করে তা সমন্বিত করা হবে নির্বাচনি ইশতেহারে৷ জনগণের কাছে পৌঁছোতে জোর দেয়া হবে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং-এর ওপর৷ আবেদন জানানো হবে ভোটারদের দরজায় দরজায় গিয়ে৷ জানুয়ারি থেকে প্রায় ১২ কোটি নতুন ভোটারদের পাশে টানতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বিজেপি৷

প্রচার অভিযানের নতুন টেকনিক কী আম আদমি পার্টির সাফল্যের অনুকরণে? বিজেপি মুখপাত্র তা অস্বীকার করে বলেন, ১৯৭৭ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনের পর এই পন্থা অবলম্বন করে সাবেক জনতা পার্টি ক্ষমতায় এসেছিল৷

কংগ্রেসের প্রস্তুতি

হালের বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়লেও কংগ্রেস বসে নেই৷ আগামী ১৭ জানুয়ারি বসছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিবেশন৷ কংগ্রেসের অন্দর মহল থেকে শোনা যাচ্ছে দলের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে দলের উপ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর নাম৷ তার আগে রাহুল শিবির বার্তা দিতে চায় দলের কাণ্ডারি রাহুলই৷ বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ব্যর্থতা নিয়ে রাহুলের দিকে আঙুল তোলা সত্ত্বেও৷

সংসদীয় ভোটের রোডম্যাপ তৈরি করার আগে ২৭ ডিসেম্বর কংগ্রেস শাসিত ১২টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকতে চলেছেন রাহুল৷ মত বিনিময় হবে মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যসুরক্ষা, লোকপাল আইনের মতো সামাজিক কর্মসূচির সফল রূপায়ন নিয়ে৷ হালে দুর্নীতি-বিরোধী লোকপাল আইন পাসে ছিল রাহুলের সক্রিয় ভূমিকা৷

Nationalkongress Hauptquartier in Neu Dheli
দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ছবি: DW/A. Chatterjee

এরপর তিনি বৈঠক করবেন শরিক দলগুলির নেতা শরদ পাওয়ার, লালুপ্রসাদ, রামবিলাস পাশোয়ান ও ফারুক আবদুল্লার সঙ্গে৷ দলীয় স্তরে রদবদল করতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানে৷ আনা হতে পারে নতুন মুখ৷ কংগ্রেস পার্টির লাগাম যে রাহুলের হাতে সেই বার্তাই দিতে চান তিনি৷ সোনিয়ার ঘনিষ্ঠ এক মন্ত্রীর ইঙ্গিত যুব ভারতের যোগ্য নেতা রাহুল৷ তাঁরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া সাজে৷ এক কথায়, রাহল গান্ধী কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর নতুন মুখ৷ স্রেফ আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটুকু বাকি৷

রাহুল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে তার অর্থ হবে প্রথমত, ড. মনমোহন সিং আর তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না৷ দ্বিতীয়ত, রাহুল হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া বেশ কিছুটা কমে যেতে পারে, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য