1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩১ জুলাই ২০১৩

ভারতের দক্ষিণী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশকে ভাগ করে পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন চলার পর অবশেষে তাতে চূড়ান্ত শিলমোহর দিল কংগ্রেস সমন্বয় কমিটি৷ তাতে অবশ্য সমস্যা কমবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞ মহল৷

https://p.dw.com/p/19HFe
Congress Party Members of Parliament from Telangana - a region of the central state of Andhra Pradesh - sit in protest to demand the introduction of the Telangana Bill at Parliament in New Delhi on April 23, 2013. Parliament is likely to witness major disruptions, with the opposition preparing to take on the Manmohan Singh government on Coalgate and the draft JPC report on the 2G spectrum scam, as the House opens for the second half of the budget session. New Delhi agreed in 2009 to the partition of Andhra Pradesh, India's fifth-largest state in terms of territory, but soon after it said the proposal needed more consultation following a fierce political backlash. AFP PHOTO/Prakash SINGH (Photo credit should read PRAKASH SINGH/AFP/Getty Images)
ছবি: NOAH SEELAM/AFP/Getty Images

অন্ধ্রপ্রদেশকে টুকরো করে তেলেঙ্গানা নামে ভারতের ২৯তম রাজ্য গঠনে চূড়ান্ত শিলমোহর দিল সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মসমিতি এবং সমন্বয় কমিটি৷ এই সিদ্ধান্ত নতুন এক ‘প্যান্ডোরাস বক্স' খুলে দিল বলে মনে করছে নাগরিক সমাজ এবং বিশেষজ্ঞ মহল৷ কারণ এর অভিঘাত পড়বে দেশ জুড়ে৷ ছোট ছোট রাজ্য গঠনের দাবি মাথা চাড়া দেবে৷ দাবি উঠবে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে৷ আসামে বোড়োল্যান্ড, পশ্চিমবঙ্গে গোর্খাল্যান্ড, মহারাষ্ট্রে বিদর্ভ এলাকা এবং জম্মু-কাশ্মীরে লাদাখ ও জম্মু অঞ্চল৷

পশ্চিমবঙ্গের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি তথা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) প্রধান বিমল গুরুং পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, পৃথক তেলেঙ্গানা হলে পৃথক গোর্খাল্যান্ড হবে না কেন? একই সুর বোড়ো নেতাদের৷ মহারাষ্ট্র থেকেও পৃথক বিদর্ভ রাজ্য গঠনের দাবি উঠছে জোরেসোরে৷

অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশকে ভাগ করা নিয়ে কংগ্রেস দলের মধ্যেই দেখা দিয়েছে তীব্র মতভেদ – বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশের সাংসদ, বিধায়ক ও কংগ্রেস নেতাকর্মীদের মধ্যে৷ তেলেঙ্গানার নেতাকর্মীরা চাইছেন ভাগ হোক, আর অন্ধ্র নেতাকর্মীরা চাইছেন পৃথক তেলেঙ্গানা কখনই নয়৷ এই নিয়ে তীব্র চাপের মধ্যে কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের পক্ষে এ যেন শাঁখের করাত৷ সোনিয়া গান্ধীর হিসেবে আগামী নির্বাচনে এতে নাকি দলের ফায়দা হবে৷ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি আবার কংগ্রেস জোটে ফিরবে এবং আগামী নির্বাচনে সেই জোট অব্যাহত থাকবে৷ বর্তমানে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের ৪২টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২০০৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস একাই পায় ৩৭টি আসন৷

পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যান তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে. চন্দ্রশেখর রাও৷ ঐ দাবি খতিয়ে দেখতে সরকার দায়িত্ব দেন শ্রীকৃষ্ণ কমিশনকে৷ কমিশন রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে যে রিপোর্ট দেন, তাতে পাঁচ-দফা সমাধানসূত্রের কথা বলা হয়৷ তার প্রথম সুপারিশ রাজ্যকে ভাগ না করা৷ তবে তেলেঙ্গানা এলাকার আর্থ-সামাজিক বিকাশে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে তেলেঙ্গানা আঞ্চলিক পরিষদ গঠনে বিধিবদ্ধ সাংবিধানিক পদক্ষেপ নেয়া৷ দ্বিতীয় বিকল্প রাজ্য দুভাগে ভাগ করা বর্তমান সীমানার ভিত্তিতে৷ ১০টি জেলা নিয়ে হবে তেলেঙ্গানা রাজ্য এবং অন্ধ্র উপকূলভাগ ও রায়েলসীমা নিয়ে ১২টি জেলা হবে সীমান্ধ্র রাজ্য৷ পাঁচ বছর হায়দ্রাবাদ থাকবে উভয় রাজ্যের যৌথ রাজধানী৷ তারপর অন্ধ্রের নতুন রাজধানী তৈরি হবে৷

অন্ধ্রপ্রদেশ পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা কার্যকর হতে সময় লাগবে৷ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যেটা খুব মসৃণ নয়৷ দলীয় প্রস্তাব পাশ করবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ তারপর তা যাবে মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে৷ মন্ত্রিগোষ্ঠী তা পাশ করলে রাজ্য পুনর্গঠন সংশোধনী বিল অনুমোদন করবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ সেখান থেকে যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে৷ রাষ্ট্রপতির নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় তা পাশ করাতে হবে৷ ভোটের কথা মাথায় রেখে বিজেপি আগেই ঘোষণা করে বসে আছে যে, কংগ্রেস যদি পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন না করে, তাহলে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে তা অবশ্যই করবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য