1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে ঘড়িয়ালদের ভিডিও ব্লগ

১৩ নভেম্বর ২০০৯

এটাকে বলা হচ্ছে ভিডিও ব্লগিং৷ যার জন্য বিশেষ প্রজাতির প্রাণীর মাথায় গোপন ক্যামেরা বসিয়ে তার জীবন এবং আশেপাশের অন্যান্য প্রাণীর কাজকর্ম ক্যামেরা বন্দি করা৷ আর সবই করা হচ্ছে সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর জীবন রক্ষার জন্য৷

https://p.dw.com/p/KVnY
ফাইল ফটোছবি: AP

পরিবেশ সংরক্ষণকারীরা বলেছেন, ভারতের চম্বল আর যমুনা নদীতে ঘড়িয়াল নামে বিশেষ জাতের কুমির রয়েছে একহাজারের মতো৷ আর আশাপাশের দেশ পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশেও এর অস্তিত্ব রয়েছে৷ বিপন্ন এই ঘড়িয়ালের জীবনচক্র ভালভাবে বোঝার জন্যই এত ব্যবস্থা৷ একটি কম ওজনের ক্যামেরা বসিয়ে দেয়া হয় ঘড়িয়ালের মাথায়৷ তারপর ছেড়ে দেয়া হয় বনে৷ এই ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতি চার সেকেন্ডে ছবি তোলা যায়৷ যাতে বোঝা যায় প্রাণীটির চলাফেরা বা স্বভাব৷

ভারতের লখনৌ এর ঘড়িয়াল সংরক্ষণ পার্কের বিজ্ঞানীরা এই কাজটি করছেন৷ ক্যামেরা তৈরি করেছে টোকিওর একটি বিশ্ববিদ্যালয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন সহকারী অধ্যাপক কাটিউফোমি সাটো বলছেন, এই ক্যামেরা পানির নিচের ছবিও ধারণ করতে সক্ষম৷ এটি সাঁতার এবং চলাচলের গতিও নির্দেশ করতে পারে৷ তাই যখন ক্যামেরাটি সংযোজনের পর ঘড়িয়ালটি বনে ছেড়ে দেয়া হয়, তখন পানিতে নামার পরও তথ্য আসতে থাকে৷ ক্যামেরাটি গরিয়ালের মাথার চার ঘন্টা আটকানো থাকে৷ এরপর তথ্য সংরক্ষণ করা হয় পরবর্তী গবেষণার জন্য৷

সংরক্ষকরা এখন ক্যামেরাসহ আরো ঘড়িয়াল ছাড়ার চিন্তা করছেন৷ যেখানে চার ঘন্টার পরিবর্তে ৪৮ ঘন্টা ক্যামেরাটি আটকানো থাকবে৷ ঘড়িয়াল সংরক্ষণে সক্রিয় এমন সংস্থার মতে পরিবেশ দূষণ, অবৈধ মাছ ধরা এবং আবাসস্থল ধ্বংস হবার কারণে এই প্রজাতির কুমিরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ তাছাড়া টোটকা ওষুধে ব্যবহারের জন্য কুমিরের দাঁত আর চামড়া শিকারিদের দৌরাত্ম তো আছেই৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক