1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের বাজেট

১৬ মার্চ ২০১২

মনমোহন সিং-এর জোট সরকারের ২০১২-১৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট আজ সংসদে পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটের টানাপোড়েনের মধ্যে পেশ করা এই বাজেটে একটা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/14Lfg
India's Finance Minister Pranab Mukherjee
ছবি: REUTERS

জোটধর্ম না রাজধর্ম? রাজনীতি না অর্থনীতি? জনমুখী না সংস্কারমুখী? বিভিন্ন রাজনৈতিক সঙ্কটে জেরবার কংগ্রেস-জোট সরকারের ২০১২-১৩ সালের বাজেট আজ পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুণ বড় ধরণের কোন সংস্কারে হাত লাগাবার সাহস করা হয়নি৷ বজায় রাখা হয়েছে জনমুখী ও সংস্কারমুখীর মধ্যে একটা নিরাপদ ভারসাম্য৷

ভারসাম্যের বাজেট করতে হয়েছে অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই৷ পাঁচটি রাজ্যে কংগ্রেসের নির্বাচনি বিপর্যয়, কংগ্রেস-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি৷ তার ওপর রেল বাজেট নিয়ে ইতিমধ্যেই মনমোহন সিং সরকার পড়েছে বিপাকে৷ তৃণমূল-কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাত চরমে৷ তাতে কংগ্রেস নেতৃত্ব নতুন করে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি৷ কারণ নিলে, জোট সমীকরণে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা৷

Indien Dinesh Trivedi
রেলমন্ত্রী দিনেশ ত্রিবেদীকে ঘিরে সংকটে পড়েছে সরকারছবি: picture-alliance/dpa

এবারের বাজেট সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. অমল মুখোপাধ্যায় বললেন, রাজনীতি বেশি, অর্থনীতি কম৷ তারপরও বাজেটটা জনরঞ্জক করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ সকলেই যাতে খুশি হয়৷ সেজন্য আর্থিক সংস্কারটা, অর্থাৎ যো সবথেকে জরুরি ছিল, সেটাকে মোলায়েম করার কথা বলা হয়েছে৷ ‘বেঙ্গল প্যাকেজ' বলে কিছু নেই৷ তাতে মমতা বন্দোপাধ্যায় অসন্তুষ্ট হতে পারেন৷ কিন্তু বাজেটটাকে সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হবে৷

রাজনীতি ও অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মধুসুদন দত্ত ডয়চে ভেলের কাছে সেটাই ব্যাখ্যা করলেন৷ কোন বাজেটই স্রেফ অর্থনীতি দিয়েই হয়না৷ অর্থনীতি তো রাজনীতির অভিমুখ দিয়েই তৈরি হয়৷ রাজনীতি বহির্ভূত হতে পারেনা৷ তবে এবারের বাজেট উচ্চাকাঙ্খী বা দৃঢ়চেতা বাজেট নয়৷ আশাও করা যায়না৷ কারণ অনেকগুলি রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে সরকার টিকে আছে৷

বাজেটে প্রত্যক্ষ করবিধি এবং খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ থেকে সরকার সরে না এলেও, ‘ধীরে চলো' নীতির ইঙ্গিত রয়েছে৷ ইঙ্গিত রয়েছে ভর্তুকি কমানোর৷ রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বিলগ্নিকরণ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা, সংস্কার কর্মসূচিকেই তুলে ধরছে৷ বিমান শিল্পকে চাঙ্গা করতে ৪৯% বিদেশি বিনিয়োগের কথাও বলা হয় বাজেটে৷

এছাড়া বাজেটে বলা হয় যে, গত অর্থবর্ষে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯ শতাংশ৷ সেটা আগামী অর্থবর্ষে হবে ৭.৬ শতাংশ৷ আর দেশের পূর্বাঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দ বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য