1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অভিনন্দনের ইঁদুর দৌড়’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ মে ২০১৪

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে অভিন্দন জানানোর প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে৷ তবে মোদী তাঁর বিজয়ী বক্তৃতায় বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেন নি৷

https://p.dw.com/p/1C1k7
Bangladesch feiert Unabhängigkeitstag
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদী কেন এমন করলেন তা ভাবার আগে আমাদের ‘অভিনন্দনের ইঁদুর দৌড়' বাদ দিয়ে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্কের দিকে আগাতে হবে৷

সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিক আশফাকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শুক্রবার বাংলাদেশের কোন কোন রাজনৈতিক দল মোদী ও বিজেপিকে অভিন্দন জানাতে যেভাবে প্রতিযোগিতা করেছে তা অনেকটা দৃষ্টিকটুই ঠেকেছে৷ অভিনন্দন জানানো শিষ্টাচার তবে তা শিষ্টাচারের অতিচারে পরিণত হয়েছে৷''

সখ্যতা গড়ার প্রতিযোগিতা

তিনি মনে করেন, ‘‘এটার নানা কারণ থাকতে পারে, কে আগে ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে সখ্যতা গড়বে বা কাছাকাছি যাবে হয়তো তার একটা প্রতিযোগিতা হতে পারে৷ তবে সেজন্য ভারতীয় দূতাবাসের সামনে গিয়ে গেট খোলার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার দরকার নেই৷ দেখে শুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই পাঠানো যেত৷''

আশফাকুর রহমান বলেন, ‘‘অভিনন্দনের ইঁদুর দৌড় নয়, প্রয়োজন সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক৷ সরকার, রাজনৈতিক দল সবাইকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে নিজের মেরুদণ্ড সোজা করতে না পারলে সম্মান আদায় কঠিন হয়ে পড়ে৷''

মোদীর বিজয়ী বক্তৃতা

মোদীর বিজয়ী বক্তৃতায় বাংলাদেশ না থাকার বিষয়টি আশফাকুর রহমান দুইভাবে দেখেন৷ তিনি বলেন, ‘‘হয় মোদী বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেননি৷ অথবা তিনি নতুন করে কোনো বিতর্কিত মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে তিনি যাই ভাবুন না কেন বাংলাদেশকে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই৷ তেমনি বাংলাদেশের কাছেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের জন্য প্রধানত ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভারতের নিরাপত্তা ইস্যু দুই দেশকে একে অপরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করেছে৷ আমরা চাইব ভারতের নতুন সরকার তিস্তার পানি, সীমানা নির্ধারণসহ বাংলাদেশের সঙ্গে আরো যেসব অমীমাংসিত বিষয় আছে তার সমাধানে উদ্যোগ নেবে৷ আর বাংলাদেশের সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেও সেভাবেই এগোতে হবে৷''

‘সতর্ক থাকাই ভালো'

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘অভিনন্দন পাঠানোর যে তাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেখা গেছে তা একটু বাড়াবাড়িই হয়েছে৷ হয়তো কে আগে অভিনন্দন পাঠাতে পারেন তার একটা প্রতিযোগিতা ছিল৷''

Kombobild Khaleda Zia und Sheikh Hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ডানে) ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া শুক্রবারই নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেনছবি: Getty Images/AFP/FARJANA K. GODHULY

এই শিক্ষক মনে করেন, ‘‘মোদী তাঁর বক্তৃতায় কেনো বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিলেন না তা বুঝতে আরেকটু সময় অপেক্ষা করতে হবে৷ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ নিয়ে অনেক বিতর্কিত কথা বলে এখন নিরব থাকার কারণ বোঝা যাবে ভারতের নতুন সরকারের কার্যক্রম দেখে৷ তবে এধরনের সাম্প্রদায়িক দলের ব্যাপারে সতর্ক থাকাই ভালো৷''

ড. শান্তনু বলেন, ‘‘ভারতের নতুন সরকার নিয়ে অতি উত্‍সাহ বা বিমর্ষ হওয়া - কোনটারই প্রয়োজন নেই৷ প্রয়োজন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্মানজনক সম্পর্ক৷ রাজনীতিবিদ এবং সরকারকে সেটাই বিবেচনা করতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য