1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় রেলওয়ের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা হল সর্বপ্রথম রেলস্টেশন

১৩ জানুয়ারি ২০১০

বৃহত্তর দিল্লির উপশহর তাজনগরের অধিবাসিরা উদ্বোধন করল দেশের প্রথম রেলস্টেশন, যেখানে ভারতীয় রেলওয়ের কোন অর্থই খরচ হয়নি৷ ২৫ বছর ধরে তাজনগরবাসি একটি স্টেশনের জন্য দাবি করে আসলেও, শেষে তাদের নিজেদেরই হাত লাগাতে হয়৷

https://p.dw.com/p/LUbx
নতুন রেলস্টেশন মানেই নতুন রেললাইন আর নতুন যোগসূত্রছবি: DW

তাজনগরের দুই হাজার মানুষ সমবেত হয় তাদের নতুন রেল স্টেশনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে৷ স্টেশনটি চালু হওয়ার পর থেকে দুই দিক থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন সেখানে দাঁড়াচ্ছে, তবে কোন মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেন আপাতত সে স্টেশনে থামবে না৷ একাধিকবার জেলা কর্মকর্তাদের অনুরোধ করার পর স্টেশন না হওয়ায় এলাকাবাসিরা নিজেরাই স্টেশনটি তৈরির কাজে হাত দেয়৷ তাজনগরবাসি একটি সমিতি গঠন করে এবং নিজেরাই স্টেশনটি তৈরি করতে সিদ্ধান্ত নেয়৷

নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত মানিশ টোকাস জানান, পাঁচ বছর আগে তারা স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করেন৷ প্রথমে দুই বছর লেগে যায় স্টেশন তৈরির অনুমতি পেতে এবং আরও তিন বছর লাগে কাগজ-কলমের কাজ সারতে৷ এ সময় তারা অর্থ জোগাড় করে কাজ শুরু করে দেয়৷

তিনি আরও জানান, প্রতিটি পরিবার এ স্টেশনটি তৈরির জন্য চাঁদা দেয় প্রায় ৭০ মার্কিন ডলার করে৷ প্রায় একবছর সময় লাগে স্টেশনটি তৈরি হতে৷ ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশনটি তৈরি করতে জায়গা, প্রযু্ক্তিগত উপদেশ এবং দেখাশোনার কাজ করেছে৷

এক হাজার ফুট দৈর্ঘের এবং ১৮ ফুট প্রস্থের এ স্টেশনটিতে দুটি প্ল্যাট ফর্ম, একটি টিকিট কাউন্টার এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে৷ রেলস্টেশনটি তৈরি হওয়াতে বিশটি গ্রামের মানুষ উপকৃত হল৷ রেলস্টেশনটি তৈরির আগে গ্রামবাসিদের অনেক দূর যেতে হত এবং কাজে বা বাড়ি যাবার জন্য তাদের প্রাইভেট যানবাহনগুলো ব্যবহার করতে হত৷ নতুন এ রেলস্টেশনটি তাদের সময়ের পাশাপাশি অর্থও বাঁচাতে সাহায্য করবে৷

তাজনগরের অনুপ কুমার জানান, তিনি মনে করেন এটি খুবই ভাল এবং এই অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সরকার বিভিন্ন স্থানের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে না এবং এর ফলে সেখানকার মানুষ বিভিন্ন সম্যসায় ভুগে৷ এ পদক্ষেপটির মধ্য দিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠি উপকৃত হবে৷

বিশ্বে সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ততম রেলওয়ের মধ্যে ভারত অন্যতম৷ প্রতিদিন ১৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ স্থলপথে এবং ২ মিলিয়ন জলপথে যাতায়াত করে থাকে৷

তাজনগরবাসি এখন দিল্লির বাইরের স্যাটেলাইট শহর গুরগাওনে যেতে পারবেন, ঐ স্যাটেলাইট শহরটিতে অনেকেই চাকুরি করেন৷ছয় মাসে স্টেশনটির মাসিক আয় সন্তোষজনক হলে একে একটি স্থায়ী স্টেশনে পরিণত করবে বলে ভারতীয় রেলওয়ের কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: আসফারা হক

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার