1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিয়ে করছেন না সানিয়া!

২৯ জানুয়ারি ২০১০

ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা এবং তাঁর বাগদত্ত সোহরাব মির্জা বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ সানিয়ার পরিবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে৷ গত বছরের জুলাইয়ে জমকালো আনুষ্ঠানিকতায় বাগদান সম্পন্ন করেছিল এই জুটি৷

https://p.dw.com/p/Ln8l
এই ছবি এখন কি স্মৃতি, বাগদান অনুষ্ঠানে সানিয়া- সোহরাবছবি: AP

বাগদানের পর ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেন সানিয়া ও সোহরাব৷ আর এ সময়েই সানিয়া বুঝতে পারেন তাঁরা পরস্পরের জন্য নন৷

ভারতের এই শীর্ষ নারী টেনিস তারকা একইসঙ্গে তাঁর ক্রীড়ানৈপুণ্য আর সৌন্দর্য্য দিয়ে ইতোমধ্যেই ভারতবাসীর মন জয়ের পাশাপাশি বহু তরুণেরই হৃদয় হরণ করেছেন৷ মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়েও খোলামেলা পোশাকে টেনিস খেলা এবং গণমাধ্যমে উপস্থিতির কারণে তাঁকে মৌলবাদীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে৷ আর এসবকে পাত্তা না দিয়ে পাল্টা সাহসী মন্তব্য করে বিতর্কিত হওয়ার পাশাপাশি জনপ্রিয়তাও বেড়েছে সানিয়ার৷

বাগদানের পরও বিয়ে না করা সম্পর্কেও সানিয়ার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট৷ সানিয়া বলেছেন, পাঁচ বছর ধরে আমরা বন্ধু, কিন্তু বাগদানের পর মেলামেশাটা অন্যরকম হয়৷ তিনি জানান, গত ছয় মাস ধরে বিদেশে তাঁর সব পেশাগত সফরের সঙ্গী ছিলেন সোহরাব৷

Indische Tennisspielerin Sania Mirza
সানিয়া মির্জাছবি: AP

সানিয়ার ভাষায়, ‘‘কিন্তু বাগদানের পরের সময়টাতে আমরা বুঝতে পারি আমরা পরস্পরের জন্য উপযুক্ত নই৷''

ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার ছাত্র সোহরাব মির্জার সঙ্গে সানিয়ার বাগদানের সময়ে দুই পরিবার জানিয়েছিল বছর দু'য়েকের মধ্যেই বিয়ে করবেন তাঁরা৷

সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা জানিয়েছেন, বাগদান ভেঙে দিলেও দুই পরিবারে বন্ধুত্ব অটুট থাকবে এবং দুই পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়েই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা৷ সোহরাবের বাবা আদিল মির্জাও একইভাবে বলেছেন যে, ‘‘সন্তানদের সুখের কথা ভেবেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷''

বিয়ের পর টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করে গত মাসে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন সানিয়া৷ সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘টেনিস খেলে বছরে ৩৫ সপ্তাহ বাইরে বাইরে থাকলে আর বিয়ে করা কেন? বিয়ের পর আমি আমার স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চাইবো৷''

বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত তাই সানিয়া ভক্তদের জন্য সুখবরই বটে! এখন আরও অনেকদিন হয়তো সানিয়াকে মাঠে পাবেন তারা৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক