1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্লেষকদের দাবি রক্ষণশীল বাজেট

১২ জুন ২০০৯

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ঘোষিত বাজেটকে যারা উচ্চাভিলাষী বলে মন্তব্য করেছেন তাদের সাথে পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলছে, এ বাজেট মোটেই উচ্চাভিলাষী নয়৷ বরং এটি রক্ষণশীল লক্ষ্যমাত্রার একটি বাজেট৷

https://p.dw.com/p/I8MT
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত (ফাইল ফটো)ছবি: DW/Kumar Dey

সিপিডি বলেছে, দেশের মানুষের ক্ষমতাকে পুরোপুরি ব্যবহার করে বাজেটে আরো বেশি অভিলাষের সুযোগ ছিল৷ কিন্তু সেটি করা হয়নি৷ এছাড়া বাজেটে অর্থমন্ত্রী যেসব প্রত্যাশার কথা বলেছেন সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের আত্মবিশ্বাসের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে৷ সরকার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করে সিপিডির গবেষক দল৷

প্রতিষ্ঠানের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বর্তমান সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘোষিত বাজেটকে সংক্ষেপে ‘প্রশস্ত রাস্তায় কম ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন নিয়ে চলার চেষ্টা'র সাথে তুলনা করা যায়৷ তাঁর মতে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে কিন্তু ইঞ্জিনের সক্ষমতা ৮০০ সিসিতেই রয়েছে৷ এটিকে ১৮০০ সিসিতে নিতে হবে৷ তিনি বলেন, এ বাজেট উচ্চাভিলাষী নয়, রক্ষণশীল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট৷ তিনি বাজেট বাস্তবায়নের প্রয়োজনে বছর জুড়ে একটি গতিশীল সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে থাকার কথা বলেন৷ আর্থিক ও মুদ্রানীতিতে সমন্বয় সাধনের তাগিদ দেন৷ বিনিয়োগকে আগামী অর্থবছরে সরকারের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার পরামর্শ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদর দফতরের স্থায়ী রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে সদ্য ফিরে আসা এ গবেষকের৷ কারণ তিনি মনে করেন, সরকারি বিনিয়োগ না বাড়লে বেসরকারি বিনিয়োগও বাড়বে না৷

বাজেট নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সমালোচনার জবাব দিতে শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷ তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অর্থনীতিবিদদের অভিযোগ খন্ডন না করেই সরাসরি সাংবাদিকদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে চলে যান৷ ঘোষিত বাজেটকে অর্থমন্ত্রী কোন মতেই উচ্চাভিলাসী বাজেট বলতে নারাজ৷ আগের বছরের তুলনায় পরের বছরের বাজেটের আকার বড় হতেই হবে৷ অন্যথায় উন্নয়ন কর্মকান্ড কিভাবে হবে৷ প্রতি বছর মানুষ বাড়ছে৷ এ কারণে বাজেটও বাড়াতে হচ্ছে৷ অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট উচ্চাভিলাসী ছিল বলেই আমরা অনেক ভাল সুফল পেয়েছি৷ দুর্নীতি দমন ও কালো টাকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুনীর্তি চট করে নির্মূল করা সম্ভব নয়৷ সমাজ থেকে দুর্নীতি সহজে চলে যাবে না৷ দুনীতি দমনের সুযোগ দিতে হবে৷ আমারা বিনিয়োগ বাড়াতে চাই৷ ব্যাপক কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ তবে তাদের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ দেড় ঘন্টা ব্যাপী চলা প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন৷

প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক