1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বের সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি মারা গেলেন জাপানে

৭ মে ২০১০

১১৫ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হল না কামা চিনেনের৷ জন্মদিনের এক সপ্তাহ আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন এই বৃদ্ধা৷

https://p.dw.com/p/NGme
গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আয়ু জাপানিদের (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/ dpa

জাপানের দক্ষিণের দ্বীপ ওকিনাওয়া দ্বীপে বসবাস করতেন চিনেন৷ এই দ্বীপের অধিবাসীরা তাদের সুস্বাস্থ্য ও অনেক বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার জন্য সুপরিচিত৷ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে জাপানে মানুষের গড় আয়ু বিশ্বের অন্য দেশগুলোর থেকে অনেক বেশি৷

গিনেস ওর্য়াল্ড রের্কডস জানায়, ‘‘আমরা এই সংবাদে খুবই মর্মাহত যে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধা মানুষটি ২০১০'এর ২ মে মারা গেলেন৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৪ বছর ৩৫৭ দিন৷''

চিনেনের মৃত্যুর পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের খেতাবটি পেলেন ফরাসি মহিলা ইউজেনি ব্লাঁশার্ড৷ তাঁর বয়স ১১৪ বছর৷ বয়সি এই ফরাসি নারীর বসবাস ক্যারাবিয়ান দ্বীপ গুয়াদালুপের বাসিন্দা তিনি৷ জানিয়েছে জেরোন্টোলোজি রিসার্চ গ্রুপ (জিআরজি)৷ ১৮৯৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ কামা চিনেন শেষ দিকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতেন৷ তবে রোদ দেখা দিলে বাইরে বেরুতে ভালবাসতেন৷

এর আগে মার্কিন মহিলা গেরট্রুড বেইন্স ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ৷ ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মারা যাওয়ার পর কামা চিনেন তাঁর খেতাব অধিকার করেন৷ জাপানের কিয়োডো বার্তা সংস্থা জানায়, চিনেনের পর জাপানের বয়স্কতম ব্যক্তি হিসেবে স্থান অধিকার করেছেন ১১৩ বছর বয়সি চিয়োনো হাসিগাওয়া৷

গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আয়ু জাপানিদেরই৷ আর বিশেষ করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও ভাল আবহাওয়ার জন্য ওকিনাওয়া দ্বীপের অধিবাসীরা অনেক দিন বেঁচে থাকেন৷ বহু শতায়ু মানুষ উপহার দিয়েছে এই দ্বীপ৷

গবেষকরা পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, বলছেন, ওকিনাওয়ার বয়োবৃদ্ধ মানুষদের ধমনী অনেক সতেজ আর পরিষ্কার৷ তাছাড়া, পশ্চিমাদের তুলনায় তাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম আর এই কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও তাঁদের ৮০ শতাংশ কম৷ তাঁদের মধ্যে স্ট্রোকের মাত্রাও অনেক কম৷

ওকিনাওয়ার মানুষদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারও শরীরচর্চা৷ অতিমাত্রায় মদ্যপান এবং ধুমপান তাঁরা এড়িয়ে চলেন৷ আর এই কারণেই তাঁদের রক্ত চাপ সব সময়ই নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ তাছাড়া, মানসিক চাপ কমাতে তাঁরা আধ্যাত্মিক চর্চাও করে থাকেন৷

ওকিনাওয়ানদের ক্যান্সার হবার সম্ভবনাও অনেক কম৷ কারণ, তাঁরা প্রচুর পরিমাণে আঁশ-জাতীয় সবজি ও ফল খেয়ে থাকেন৷ এছাড়া তাঁরা খুবই কর্মঠ৷

জাপান সরকারের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে জাপানে নারীদের গড় বয়স ছিল ৮৬.০৫ বছর এবং পুরুষদের গড় বয়স ৭৯.২৯ বছর৷ দেশটিতে জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছর বা তার ওপরে৷ আর ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩২ শতাংশে পৌঁছবে বলে পরিসংখ্যানে জানানো হয়৷

প্রতিবেদন: আসফারা হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক