1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ ভিক্ষুকমুক্ত রাখতে টাকা দেবেন চট্টগ্রামের মেয়র

৩০ জানুয়ারি ২০১১

আর মাত্র কয়েক দিন৷ এরপরই শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট৷ প্রথমবারের মত এবার বাংলাদেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে এই বিশ্বকাপ৷ যদিও সেটা ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মিলে৷

https://p.dw.com/p/107N5
চট্টগ্রাম, chittagong, bangladesh, বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম ভিক্ষুকমুক্ত রাখার পরিকল্পনা মেয়রেরছবি: DW/Kumar Dey

আয়োজন সফল করতে বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করছে৷ এসবের মধ্যে একটা অভিনব পরিকল্পনার কথা জানালেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনজুর আলম৷

বিশ্বকাপ দেখতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর দর্শক যাবেন বাংলাদেশে৷ খেলা দেখার পাশাপাশি তাঁরা আকর্ষণীয় স্থানগুলোও ঘুরে দেখবেন৷ ফলে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন স্থানগুলো যথাসম্ভব ঠিকঠাক রাখার চেষ্টা চলছে৷ কেননা এই দর্শকদের মন ভরাতে পারলে ভবিষ্যতে আরও পর্যটক পাওয়া যাবে৷

কিন্তু দর্শকদের ঘোরাঘুরির সময় যদি ভিক্ষুকরা ঘিরে ধরে, তাহলে সেটা নিশ্চয় ভাল কথা নয়৷ এই সমস্যা সমাধানে একটা অভিনব বুদ্ধি বের করেছেন মেয়র আলম৷

তিনি বলছেন, বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই মাস পর্যন্ত প্রতিদিন ভিক্ষুকদের দেড়শো টাকা করে দেয়া হবে৷ এজন্য তিনশো ভিক্ষুক ঠিক করা হয়েছে, যারা পঙ্গু৷ মেয়র বলছেন, অনেক পঙ্গু ভিক্ষুকের আয় দিয়ে গোটা পরিবার চলে৷ তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে৷ তাই বিশ্বকাপের সময় তাদেরকে টাকা দেয়া হবে, যেন তাদের রাস্তায় বের হতে না হয়৷

কীভাবে এই টাকা দেয়া হবে, সেটা ঠিক করতে এই বুধবারে ভিক্ষুক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি'কে জানিয়েছেন মেয়র আলম৷ সেসময় টাকা ছাড়াও আর কী কী দিয়ে তাদের সাহায্য করা যায়, সেটাও আলোচনা করা হবে৷ জানা গেছে, ভিক্ষুকদের খাবার ও কাপড়-চোপড়ও দেয়া হতে পারে৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিশ্বকাপের মোট আটটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে৷ এর মধ্যে ঢাকায় হবে ছয়টি, আর চট্টগ্রামে দুটি৷ এর মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ৷ অনুষ্ঠিত হবে মার্চের ১১ তারিখে৷ আর তিনদিন পর মাঠে নামবে বাংলাদেশ আর হল্যান্ড৷

এছাড়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে ঢাকায়৷ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি৷

২০০৫ সালে করা এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় সাত লক্ষ ভিক্ষুক রয়েছে৷ এবং শহর এলাকার একজন ভিক্ষুক দিনে গড়ে একশো টাকা আয় করে থাকে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন