1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আডিডাস, নাকি নাইকি?

১০ জুন ২০১৪

ফুটবল এক কথা আর ব্যবসা আরেক কথা? আদৌ নয়৷ অন্তত বিশ্বকাপি, থুড়ি, বিশ্বব্যাপী ফুটবলের বাজারে আধিপত্য নিয়ে যে সব কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তাদের ক্ষেত্রে তো নয়ই৷ চার বছরে একবার বিশ্বকাপই হলো তাদের সুবর্ণ সুযোগ৷

https://p.dw.com/p/1CEx6
আডিডাস ২০৩০ সাল অবধি বিশ্বকাপের সরকারি ‘স্পন্সর'ছবি: Holger Weber/Kubikfoto/Greenpeace

ম্যাচ চলবে; সারা বিশ্বে কোটি কোটি দর্শক টেলিভিশনের পর্দায় দেখবেন সেই সব প্লেয়ার আর তাঁদের বুট, জার্সি ইত্যাদি রণসাজ৷ এবং সেই দর্শকদের একাংশ – তাঁদের বয়স যাই হোক না কেন – মেসি, রোনাল্ডো, নেইমারের জার্সি গায়ে চড়াতে ও তাঁদের মতো বুট পরতে চাইবেন; খেলতে চাইবেন বিশ্বকাপের মার্কামারা বল দিয়ে৷ এটা একটা সুবিশাল বাজার

বিশ্বব্যাপী ফ্যানরা দেখবেন নাইকি-র সেই সুবিখ্যাত ‘স্যুশ' বা টিক-চিহ্ন, আডিডাস-এর তিনটি স্ট্রাইপ কিংবা পুমা-র লম্ফনরত শার্দূল৷ সাধে কি আডিডাস-এর মার্চেন্ডাইজিং ম্যানেজার পিটার হং বলেছেন: ‘‘এ হলো বিশ্বকাপ৷ করো, নয়ত মরো৷ জেত, নয়ত বাড়ি যাও৷'' অর্থাৎ মাঠের ভিতরে-বাইরে এমন এক প্রতিযোগিতা, যা-তে বিজ্ঞাপন অভিযান, সোশ্যাল মিডিয়া, ফুটবল জগতের অতীত কিংবা বর্তমান তারকারা এবং অবশ্যই সেই সঙ্গে কোম্পানির পণ্যের উল্লেখ কিংবা উপস্থিতি – কোনো কিছুই বাদ পড়বে না৷

Deutschland Greenpeace Adidas Gift im WM-Schuh
নাইকি ফুটবলের বাজারে ঢোকে সবে ১৯৯৪ সালেছবি: Daniel Mueller/Greenpeace

দু'পায়ে দু'রঙের বুট

নাইকি অনেক ‘স্টার'-কে ভাড়া করেছে, সেই সঙ্গে আশা করছে যে ব্রাজিল ভালো ফলাফল করবে৷ আডিডাস ২০৩০ সাল অবধি বিশ্বকাপের সরকারি ‘স্পন্সর'৷ পুমা ফুটবলারদের দু'পায়ে দু'রঙের বুট চড়িয়েছে৷ অ্যাথলেটিক ফুটওয়্যার, জামা-কাপড় এবং সাজ-সরঞ্জামের ক্ষেত্রে নাইকি হলো বিশ্বের নম্বর ওয়ান; আডিডাস দ্বিতীয় হওয়া সত্ত্বেও ফুটবল পণ্যের ক্ষেত্রে প্রথম৷ গতবছর এ বাজারে নাইকি-র বিক্রি ছিল দু'শো কোটি ডলার, আডিডাস-এর দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার৷ আডিডাস বিশ্বকাপের সুযোগে সেটাকে বাড়িয়ে দুই দশমিক আট বিলিয়ন ডলার করার খোয়াব দেখছে৷

Brasilien Fußball WM Brazuca
বিশ্বকাপের স্পন্সর হিসেবে ১৯৭০ সাল যাবৎ আডিডাস বিশ্বকাপের বলটি ডিজাইন করে আসছেছবি: YASUYOSHI CHIBA/AFP/Getty Images

‘সকার' বা ফুটবল চিরকালই আডিডাস-এর পেটোয়া: প্রতিষ্ঠাতা আডি ডাসলার কোম্পানির প্রথম ফুটবল বুট-জোড়া তৈরি করেন ১৯২৫ সালে৷ বিশ্বকাপের স্পন্সর হিসেবে ১৯৭০ সাল যাবৎ আডিডাস বিশ্বকাপের বলটি ডিজাইন করে আসছে৷ এবারের বলটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ব্রাজুকা'৷ এই ‘ব্রাজুকা'-র বিক্রি নাকি ইতিমধ্যেই চার বছর আগের বিশ্বকাপের বল ‘জাবুলানি'-র বিক্রিকে প্রায় ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে৷

নাইকি-র চ্যালেঞ্জ

নাইকি ফুটবলের বাজারে ঢোকে সবে ১৯৯৪ সালে৷ নাইকি-র চাতুর্য্য হলো, কি করে সরকারি স্পন্সর না হয়েও তারা নিজেদের ছাপ রেখে যেতে পারে৷ তাদের এবারকার বিজ্ঞাপনী প্রচার অভিযান প্রধানত ফুটবল স্টারদের ঘিরে, যাঁদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং নাম-করা হলেন পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ নাইকি-র এই প্রচার অভিযানে ‘বিশ্বকাপ' শব্দটির উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি৷ অথচ মাঠেও দশটি দল নাইকি-র জার্সি গায়ে চড়াবে – তাদের মধ্যে ব্রাজিলও থাকবে৷ শত শত প্লেয়ারদের পায়ে দেখতে পাওয়া যাবে নাইকি বুট৷

নাইকি-র বর্ধিত আত্মবিশ্বাসের একটা কারণ নিশ্চয় রোনাল্ডো, যাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ‘মার্কেটেবল', অর্থাৎ বাজারে বিক্রয়যোগ্য খেলোয়াড় বলে গণ্য করা হয়৷ বিশ্বব্যাপী তাঁর নাম জানে প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ৷ আডিডাস-এর স্পন্সর করা লিওনেল মেসির ‘নেম রেকগনিশন' পার্সেন্টেজ ঠিক তার পরে৷ বিশ্বের প্রথম দশজন সবচেয়ে বেশি ‘মার্কেটেবল' প্লেয়ারদের মধ্যে নাইকি-র হাতে ছ'জন, আডিডাস-এর তিনজন আর পুমা-র একটি৷

জার্সির কথায় এলে, বিশ্বকাপে যে ৩২টি দল খেলছে, তাদের মধ্যে ১০টির জার্সি ডিজাইন করেছে নাইকি; আডিডাস করেছে ন'টা দেশের জার্সি; পুমা আটটি দেশের৷ তবে এ যুদ্ধে অন্যান্য অস্ত্রও আছে: আডিডাস-এর বিশ্বকাপ ‘‘ব্যাটল প্যাক''-এ চার ধরনের বুট আছে, চার ধরনের খেলোয়াড়দের জন্য৷ নাইকি-র বিপ্লবী ‘‘মার্কিউরিয়াল'' ও ‘‘ম্যাজিস্টা'' আল্ট্রা-লাইটওয়েট ফুটবল বুটগুলো দেখলে মনে হবে, কেউ যেন ‘ক্লিট' দেওয়া মোজা পরে মাঠে নেমেছে! ওদিকে পুমা-র ‘‘ট্রিক্স'' বুটজোড়ার রহস্য হলো, দু'পায়ের দু'রঙের বুট৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য