1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনীতি

২ মে ২০১২

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৮ দলের শীর্ষ নেতাদের জামিন আবেদন নিয়ে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্টের ২টি বেঞ্চ৷ ফলে বুধবার জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি৷

https://p.dw.com/p/14o3I
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

গত রোববার হরতালের সময় সচিবালয়ে বোমা হামলা এবং রাজধানীতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২টি মামলা হয়৷ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে৷ বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আজ সকালে তাঁদের পক্ষে হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম শাহেদুল হক এবং বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমানের বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন জানান৷ কিন্তু বিষয়টি দিনের কার্যতালিকায় না থাকায় ঐ দুই বিচারপতি শুনতে অপরারগতা প্রকাশ ও বিব্রত বোধ করেন৷

এরপর ব্যারিস্টার মওদুদ বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের আদালতে গেলে তারাও বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত কিনা, তা নিশ্চিত না হতে পেরে ফিরিয়ে দেন৷ এই আবেদনের সময় হাইকোর্টে মামলার এজাহারভুক্ত কোন নেতা সশরীরে হাজির হননি৷ পরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সকাল থেকেই হাইকোর্ট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়, যাতে নেতারা আদালতে হাজির হতে না পারেন৷ তিনি অভিযোগ করেন, সরকার মানুষের মৌলিক অধিকারও হরণ করছে৷

অন্যদিকে হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং জাহাঙ্গির হোসেনের আদালতে পাবলিক পরীক্ষার সময় হরতাল বেআইনি ঘোষণা করতে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলি আখন্দ৷ আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে রুল নিশি জারি করেছেন৷

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলতাফ হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির মহাচিবসহ সরকারের বিরুদ্ধে দেয়া এই রুলের জবাব দিতে হবে ৩ সপ্তাহের মধ্যে৷

উল্লেখ্য, এর আগেও হরতালের বিরুদ্ধ হাইকোর্টে রিট হয়েছে৷ হাইকোর্ট একটি রিটের রায়ে বলেছেন হরতাল বৈধ, তবে জোর জবরদস্তি করে হরতাল করা যাবেনা৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য