1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদ্যুৎ উৎপাদন ও কয়লা উত্তোলনে জার্মানির সহযোগিতা চাইলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী

১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯

সৌর শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং খনি থেকে কয়লা উত্তোলনে জার্মান সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

https://p.dw.com/p/Jiku

বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন জার্মান রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এই সহযোগিতা চান৷ পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান৷
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক জার্মান রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক মাইকে গত মাসে ঢাকা ছেড়ে গেছেন৷ তার স্থলাভিষিক্ত হন হলগার মিশায়েল৷ চলতি মাসে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি৷ নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ৷ এর আগে তিনি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং মানবাধিকার সুরক্ষাসহ বিভিম্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব৷ জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশ ও তার দেশের মধ্যে একটি মিল রয়েছে৷ দু'টি দেশই যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পারবর্তী কালে তা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷ বলেন আবুল কালাম আজাদ৷
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচনে দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীসহ জার্মানির সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান৷ এই ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী৷ শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি দমন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগনের কল্যাণ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ৷ আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য৷ বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার ছিল না বলেই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে এমনটাই মনে করেন তিনি৷
হলগার মিশায়েল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন সংকট মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন৷ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নবনিযুক্ত এই জার্মান রাষ্ট্রদূত৷

প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক