1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

১০ মে ২০১২

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সঠিক বিচার চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ সংগঠনের দক্ষিণ এশিয়া শাখার প্রধান মীনাক্ষি গাংগুলি সেকথাই বললেন ডয়চে ভেলেকে৷

https://p.dw.com/p/14sMA

বাংলাদেশের বিডিআর মিউটিনিতে ৭৪ জন সেনা ও অফিসার নিহত হন৷ যাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার৷ এই বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এর সঠিক বিচার প্রয়োজন বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ এই ঘটনার পর মোট দুটি তদন্ত কমিটি তাদের কাজ করে এবং পরিশেষে মোট ছয় হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়৷ কিছু মানুষের বিচার হচ্ছে বিডিআরের সেনা আইনে আর বাকিদের বিচার হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ ফৌজদারি আইনে৷

এই বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ সরকারের ওপর কোনরকম চাপ সৃষ্টি করছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মীনাক্ষি বলছেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চায়, সঠিক বিচার হোক৷ নিয়মিত এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তাঁর সংগঠন৷ মীনাক্ষি জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলির কাছে তাঁরা যে রিপোর্ট পেয়েছেন, তাতে দেখা গেছে, এই মিউটিনির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধৃতদের অনেকের ওপর জেল হাজতে নির্যাতন চালানো হয়েছে স্বীকারোক্তির জন্য৷ দেখা গেছে, প্রায় পঞ্চাশজন মতো অভিযুক্ত সেই নির্যাতনে মারা পড়েছে৷ সে তথ্য জানিয়ে মীনাক্ষির বক্তব্য, এভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় এক অমানবিক পদ্ধতি৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চায়, এই ঘটনার নেপথ্যে যারা আসল মাথা, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক৷ আইন যেন সঠিকভাবে তার কাজ করে৷

মানবাধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'এর বিভিন্ন ইস্যুতেই যোগযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মীনাক্ষি৷ বাংলাদেশ তাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্যই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'এর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে বলে তিনি জানান৷ তবে এই বিডিআর বিদ্রোহের সঠিক অপরাধীদের খুঁজে বের করা এবং তাদের বিচারের মাধ্যমে পুরো পরিস্থিতির একটি ইতিবচক সমাধানের দাবিই তিনি করেছেন একজন আন্তর্জাতিক মানের মানবাধিকার কর্মী হিসেবে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য