1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিডিআর বিদ্রোহের রিপোর্ট প্রকাশ

২৭ মে ২০০৯

ডাল-ভাত কর্মসূচি, সেনা কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনসহ বেশ কিছু বিষয়ে বাংলাদেশের বিডিআর সদস্যদের ক্ষোভ থেকে পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান আনিসুজ্জামান খান৷

https://p.dw.com/p/Hyca
ছবি: AP

তবে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য আরো তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করে তদন্ত কমিটি৷ কমিটি মনে করে, এর পিছনে আরো গভীর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে৷ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি৷

২৫শে ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকান্ডের পর গঠিত তদন্ত কমিটি এ মাসের ২১ তারিখে সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়৷ এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় খুব দ্রুত এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে৷ এই প্রথম কোনো সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করলো সরকার৷

দীর্ঘদিনের দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়াকে বিদ্রোহের প্রাথমিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে৷ এই অসন্তোষকে কোন মহল ব্যবহার করে এই ঘটনা ঘটিয়েছ বলেও তদন্ত কমিটির অভিমত৷ আরও যে সব কারণ কমিটি উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে উল্লখযোগ্য হচ্ছে, সেনা কর্মকর্তাদের সম্পর্কে সাধারণ বিডিআর সদস্যের নেতিবাচক ধারনা, বিডিআর সদ্যসদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিডিআর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি, গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের পেশাগত অদক্ষতা ও সাংগঠনিক ব্যর্থতা৷

কমিটির রিপোর্টে চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করে বিডিআরকে অকার্যকার করা, ভবিষ্যতে সেনা কর্মকর্তাদের বিডিআরে প্রেষণে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা, নবনির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল করা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নষ্ট করাকে এ ঘটনার নেপথ্য উদ্দেশ্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷

রিপোর্ট প্রকাশের পর স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এই ঘটনায় জড়িত বা উস্কানিদাতা হিসাবে যাদেরই নাম আসবে তাদেরকেই বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান৷

এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার সেনা আইনে করা, বিডিআর পুর্নগঠন, কেন্দ্র্রীয় গোয়েন্দা সমন্বয় কমিটি গঠন এবং সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাউন্টার ফোর্স গঠন, জাতীয় সংকট মোকাবেলায় স্থায়ী কমিটি গঠন সহ আটটি স্বল্পমেয়াদী ও ১৫টি দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি৷

প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক