1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিডিআর বিদ্রোহ

৪ জুলাই ২০১২

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ‘পক্ষপাতদুষ্ট গণবিচার’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলেনে সংগঠনের এশিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এই দাবি জানান৷

https://p.dw.com/p/15R4i
ছবি: DW

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন৷ তার বিচার চলছে এখন বিশেষ আদালতে৷ বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'এর এশিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এই বিচার বন্ধের দাবি জানান৷ তিনি একে পক্ষপাতদুষ্ট গণবিচার বলে দাবি করেন৷ তাঁর মতে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুনির্দষ্ট অভিযোগ ছাড়া এই গণবিচার চলতে পারেনা৷

ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে৷ এজন্য তারা সচেতন রয়েছেন৷ কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহের পরে যারা নিহত হয়েছে, সে ব্যাপারেও কোনো ক্ষমা থাকতে পারেনা৷ সরকার কোনোভাবেই নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্যাতনের সুযোগ দিতে পারেনা৷ আর প্রত্যেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দষ্টভাবে অভিযোগ না এনে এভাবে গণবিচার চলতে পারেনা৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর একটি তদন্ত দল বিডিআর বিদ্রোহ পরবর্তী ঘটনা তদন্ত করে ৫৭ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ আর এই প্রকাশনার নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য ফিয়ার নেভার লিভস মি'৷ গবেষণায় বলা হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের পর ৪৭ জন রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মারা গেছেন৷ অনেকের ওপর করা হয়েছে নানা ধরনের নির্যাতনও৷ এছাড়া, ৮৪৭ জন লোককে একটি মাত্র মামলায় আসামি করে শুনানি চলছে৷

তদন্ত দলের প্রধান তেজশ্রী থাপা বলেন, বিডিআর বিদ্রোর পরবর্তী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তাদের ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে৷ চালানো হয়েছে নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন৷ অনেকের আঙুল এবং আঙুলের ডগা নেয়া হয়েছে ছিঁড়ে৷

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, বিডিআর বিদ্রোহের পর ৪,০০০ জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়৷ এর মধ্যে এখনো ২,০০০ জন বিচারের অপেক্ষায় আছে৷ আর আটশ'রও বেশি জওয়ানকে হত্যা মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য