1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ুশক্তি

রিচার্ড ফুক্স/এসি৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

গতবছর জার্মানিতে বায়ুশক্তির ছছল-বছল ছিল৷ ২০১২ সালে উইন্ড পার্ক ও কেবল্ বসানোর কাজ নিয়মিতভাবে বাড়ার পর ২০১৩ সালে মন্দা দেখা দেবে কিনা, তা নির্ভর করবে একাধারে বিশ্ববাজার ও সরকারি নীতির উপর৷

https://p.dw.com/p/17bIN
ছবি: Hexicon

জার্মানিতে বায়ুশক্তির ক্ষেত্রে ২০১২ সালটা দারুণ কেটেছে৷ বছরের শেষে জার্মানিতে প্রায় ২৩ হাজার উইন্ড টার্বাইন কাজ করছিল৷ অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে উইন্ড পার্কগুলোয় টার্বাইনের সংখ্যা বেড়েছে এক হাজার৷ সব ক'টি উইন্ড টার্বাইন মিলিয়ে এখন ৩১,৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব – যা কিনা ২০১১ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি৷ এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে মোট ৬০টি কয়লার চুল্লি লাগবে৷ ফেডারাল বায়ুশক্তি সমিতির উপপ্রধান সিলভিয়া পিলার্স্কি-গ্রোশ বলেন:

‘‘২০১১'র তুলনায় ২০১২'য় বেড়ে ২০ শতাংশ হওয়াটাকে আমি সঠিক পথে যাওয়া বলে মনে করি৷ আমরা আরো দেখছি যে, সম্প্রসারণ সব ক'টি রাজ্যে একযোগে ঘটেছে, যেমন উত্তরে, তেমনি দক্ষিণে৷ শুধু নিম্ন স্যাক্সনি আর শ্লেষভিগ হলস্টাইনেই নয়, অন্যান্য রাজ্যও জোরকদমে এগোচ্ছে৷''

Ökostrom vs konventioneller Strom Windrad Kohlekraftwerk Overlay
কয়লার চুল্লির পরিবর্তে বায়ুশক্তিছবি: picture-alliance/dpa

কিন্তু সম্প্রসারণ ও ক্যাপাসিটি বা বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা এক কথা, আর বাস্তবিক কি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, সেটা আরেক কথা৷ বলতে কি, ২০১২ সালে ২০১১১ সালের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়নি৷ তার কারণ, প্রকৃতির খেয়াল, অর্থাৎ বাতাসের ঘাটতি ছিল৷ তবে উইন্ড টার্বাইন ও উইন্ড পার্ক যারা তৈরি করে, সেই জার্মান ও ডেনিশ কোম্পানিগুলির মুনাফায় তা কোনো বাদ সাধেনি৷

পিলার্স্কি-গ্রোশ যে উত্তরের নিম্ন স্যাক্সনি ও শ্লেষভিগ হলস্টাইনের নাম করেছিলেন, তার কারণ হলো, জার্মানিতে যা কিছু নতুন উইন্ড টার্বাইন বসানো হচ্ছিল, তার প্রত্যেক দ্বিতীয় উইন্ড টার্বাইন বসানো হচ্ছিল উত্তরের ঐ দু'টি রাজ্যে৷ মজার কথা হল, ২০১২ সালে দক্ষিণের রাজ্যগুলিও নতুন উইন্ড টার্বাইন বসানোর ক্ষেত্রে উত্তরকে ধরে ফেলেছে – যদিও দক্ষিণে উত্তরের মতো বাতাস থাকে না৷ বিশেষ করে রাইনল্যান্ড-ফাল্জ ও বাভেরিয়ায় বিপুল বিনিয়োগ করা হয়েছে৷

বলতে কি, চিন্তা এখন উত্তর ও বালটিক সাগরের অফশোর উইন্ড পার্কগুলোকে নিয়ে – যাদের এককালে ভবিষ্যতের নবী বলে গণ্য করা হতো৷ তাদের সম্প্রসারণ ঠিকমতো ঘটছে না৷ তার ওপর উত্তরে উৎপাদিত বিদ্যুতের গ্রাহকরা কিন্তু পশ্চিম ও দক্ষিণ জার্মানিতে বসে – এবং সেই বিদ্যুৎ উত্তর থেকে দক্ষিণে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের গ্রিড বা সাপ্লাই লাইনগুলির সম্প্রসারণ দরকার, যা এখনও হয়নি এবং যা ঘটতে গেলে বিপুল বিনিয়োগ দরকার – হয় বেসরকারি, নয়ত সরকারি৷

Deutschland Energie Überlandleitungen in Neuenhagen
বায়ুশক্তির দ্বিতীয় সমস্যা: বিদ্যুৎ পরিবহণের পর্যাপ্ত গ্রিড নেইছবি: dapd

২০১২ সালে সাকুল্যে ১৬টি নতুন অফশোর উইন্ড টার্বাইনকে সাপ্লাই গ্রিডে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে৷ ওদিকে মোট সাড়ে তিনশো উইন্ড টার্বাইন এখনও শেষ হবার অথবা গ্রিডে যুক্ত হবার অপেক্ষায় রয়েছে৷ অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে বায়ুশক্তি থেকে দশ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার স্বপ্ন, জার্মান সরকার যা দেখছেন, এই গতিতে চললে তা সম্ভব হবে না৷ সিলভিয়া পিলার্স্কি-গ্রোশ বলছেন:

‘‘আমরা ধরে নিচ্ছি, ২০১৩ সালে অনশোর আর অফশোর মিলিয়ে বায়ুশক্তি থেকে৩,৫০০ মেগাওয়াট অবধি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে৷ অনশোর এলাকায় ২,৭০০ থেকে ২,৯০০ মেগাওয়াট, অফশোর-এ তার চেয়ে অনেক কম, ৩০০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াটের সম্প্রসারণ৷''

ওদিকে, বায়ুশক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববাজার পরিলক্ষণ করলে জার্মানিকে সব সত্ত্বেও ব্যতিক্রম বলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ জার্মান যন্ত্র ও কারখানা নির্মাতাদের সমিতি ভিডিএমএ-র পাওয়ার সিস্টেমস-এর লবিইস্ট থর্স্টেন হের্ডান মনে করেন, চলতি বছরে বিশ্ববাজারে বায়ুশক্তির অনুপাত কমবে ১০ শতাংশ৷ তার একটা কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি ক্ষেত্রে যা ঘটছে৷ দ্বিতীয়ত, চীন ক্রমেই বিদেশি উইন্ড টার্বাইন নির্মাতাদের ‘প্রবেশ নিষেধ' করে দিচ্ছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, জার্মান সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভরতুকি কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তার ফলে বড় বড় উইন্ড পার্ক তৈরি প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে৷ হের্ডান বলেন:

‘‘এই ধরণের আস্থাভঙ্গের ফলে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তাবোধ বিনষ্ট হবে, তারা যে কোনো ধরণের আইনের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করতে ভয় পাবে৷''

প্রতিবেদন: রিচার্ড ফুক্স/এসি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য