1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ার্ন আবার সেরা, খুশি নতুন তারকা ম্যুলার

২ মে ২০১০

বুন্দেসলিগা জিতে নিল আবার বায়ার্ন৷ বোখুমের বিরুদ্ধে ৩-১ বিজয়ে বায়ার্নের টোমাস ম্যুলার যে হ্যাটট্টিক করলেন, তাতে নতুন এক তারকার জন্ম হল বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের৷

https://p.dw.com/p/NCaL
টোমাস ম্যুলারছবি: AP

বয়স তাঁর মাত্র কুড়ি বছর৷ বায়ার্ন মিউনিখে গত আগস্ট মাস থেকে তিনি খেলছেন বটে, কিন্তু অনেকদিনই মাঠের বাইরের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করতে হয়েছে টোমাস ম্যুলারকে৷ অবশেষে বুন্দেসলিগার খেতাব জয়ের খেলায় এই টোমাস ম্যুলারের হ্যাটট্রিক বায়ার্নকে আবার বহুদিন পরে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন চেহারাটা দেখিয়ে দিল৷ ফলে নতুন তারকা এই মুহূর্তে অবশ্যই ম্যুলার৷ তারকা হতে পেরে, বা বলা ভালো নিজের যোগ্যতার মূল্য পেয়ে খুশি ম্যুলার নিজেও৷

তবে মে মাসের গোড়াতেই যে ম্যুলার তারকা হলেন তা অবশ্যি নয়৷ মার্চ আর এপ্রিল মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলাগুলোতেও ভালো খেলেছেন ম্যুলার৷ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের ওঠার নেপথ্যে বেশ অবদান আছে ম্যুলারের৷ তারপরে মে মাসের গোড়াতেই বুন্দেসলিগা সেরার তকমা জিততে বায়ার্নকে সাহায্য করল তাঁর তিন তিনটে গোল৷ ফলে সবটা মিলিয়ে এই মুহূর্তে মাত্র কুড়ি বছরের এই স্কোরারের দিকে বেশ আশা নিয়েই তাকিয়ে থাকবে বায়ার্ন সমর্থকরা৷ আর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এ মাসের শেষদিকে যদি বায়ার্ন হারিয়ে দিতে পারে ইন্টার মিলানকে, আর সেই খেলায় যদি আবার দু একটা গোল পেয়ে যান ম্যুলার, তাহলে তো সোনায় সোহাগা৷

যদিও তথ্যগতভাবে বুন্দেসলিগার সেরার শিরোপা এখনও পায়নি বায়ার্ন৷ কারণ, হের্থা বার্লিনের সঙ্গে একটা খেলা আগামী শনিবারে বাকি রয়ে গেছে৷ কিন্তু এবারের বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের কাছাকাছি থাকা প্রতিপক্ষ শালকে ভের্ডা ব্রেমেনের কাছে ২-০ হেরে যাওয়ার পর বায়ার্নের জন্য বুন্দেসলিগা ছিনিয়ে নেওয়াটা স্রেফ সময়ের ব্যাপার৷কারণ, গোল ব্যবধানে অনেক এগিয়ে রয়েছে বায়ার্ন৷ আর তাই এই নিয়ে বাইশবার বুন্দেসলিগা সেরা হওয়ার পরিসংখ্যানটা কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা আর কারওই নেই৷

মে মাসটা বায়ার্নের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, বলেছেন ক্লাবের ডাচ কোচ লুই ফান গাল৷ বুন্দেসলিগা তো ঘরে এসেই গেছে, এখন চ্যাম্পিয়নস লিগটাও জিততেই হবে৷ চলতি মরশুমে অনেক ওঠাপড়ার মুখোমুখি হয়েছে বায়ার্ন৷ বলছেন ফান গাল৷ বলছেন, এইসব ওঠাপড়ার ভিতরেও সাফল্যই হল শেষ কথা৷ তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে পারা৷ নতুন কোচের নেতৃত্বে খেলোয়াড়রাও বেশ খুশি৷ সবথেকে বড় কথা হল, বায়ার্ন তার হৃত সম্মান ফিরিয়ে এনেছে৷ শুধু জার্মানিতেই নয়, ইউরোপের মধ্যেও নিজেদের একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে৷ সব মিলিয়ে বেশ সুখকর পরিবেশ৷

সেই পরিবেশটাকে ধরে রাখাটা আর একের পর এক সাফল্যের অংশীদার হওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ৷ দেখা যাক সেই চ্যালেঞ্জ বায়ার্ন কতটা নিতে পারে৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - সাগর সরওয়ার