1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘বার্সার’’ জয়ের রহস্য

২৮ মে ২০০৯

বুধবার রোমে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে বার্সেলোনা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড’কে হারালো ২-০ গোলে৷ দেখে দুনিয়া বলছে, এ শুধু ইউরোপের নয় - বিশ্বের সেরা টীম৷ কিন্তু কেন? এবং আরো বড় কথা: কিভাবে?

https://p.dw.com/p/HzdP
ছবি: AP

স্টাডিও অলিম্পিকো'র ম্যাচটা যারা দেখেছেন, তারা জানেন, বার্সার ম্যাজিক সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই৷ তবে এই ম্যাজিক দেখার পর ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকার প্রতিক্রিয়া দিয়ে সেই ম্যাজিকটা বোঝানো যেতে পারে৷ দ্য গার্ডিয়ান লিখছে: এর পর প্রিমিয়ার লীগের তথাকথিত বিশ্ব আধিপত্য নিয়ে বেশ কিছুদিন উচ্চবাচ্য করা হবে না৷ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখছে: বার্সেলোনা প্রিমিয়ার লীগের সেরা দলটিকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে৷ দ্য মিরর লিখছে: হারা তো শুধু নয়, মার খাওয়া৷ মেরে ছাতু করে দেওয়া৷ অর্থাৎ শুধু ম্যান ইউ নয়, গোটা প্রিমিয়ার লীগের গুণগত উৎকর্ষ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে৷ বার্সার এমনই ম্যাজিক৷

Champions League FC Barcelona Manchester Flash-Galerie
বার্সেলোনার একটি ঘরোয়া, হাতে গড়া, নকশিকাঁথা কাহিনী হল লিওনেল মেসিছবি: picture-alliance/ dpa

‘‘পেপ''

স্পেনের ক্লাবগুলোর ইতিহাসে প্রথম ত্রিমুকুট এই বার্সার: একই মরশুমে লা লিগা, কিংস কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতা৷ এতো বড়ো সাফল্যের পিছনে প্রথমেই যার নাম করতে হয়, তিনি হলেন ৩৮ বছর বয়সী কোচ পেপ গুয়ার্দিয়োলা'র৷ তিনি আবার বার্সারই যুব ক্যাডার থেকে এসেছেন৷ ১১ বছর বয়স থেকে তিনি বার্সার যুব ক্যাডারে৷ ১৫ বছর বয়সে বার্সার প্রখ্যাত স্টেডিয়াম ক্যাম্প নু'তে বল কুড়িয়ে ফেরৎ দেওয়ার দায়িত্বে৷ বার্সার কিংবদন্তী স্বরূপ কোচ ইয়োহান ক্রয়েফ তরুণ গুয়ার্দিয়োলাকে দলে নেন৷ গুয়ার্দিয়োলা ক্রয়েফের ড্রীম টীমের অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ হয়ে ওঠেন৷

FC Barcelona gewinnt Champions League Fans Flash-Galerie
বার্সার ম্যাজিকে পাগল ভক্তদের কান্ডছবি: picture-alliance/ dpa

জন্মসূত্রে ক্যাটালান, সেখানেই মানুষ, বার্সেলোনার ক্যাপ্টেন ছিলেন - এই মানুষটির স্বভাব, চরিত্র সব কিছুই যেন এই অঞ্চলের মাটি থেকে উঠে আসা৷ সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বুদ্ধি, ফুটবলের বুদ্ধি: কোচ হয়েই রোনাল্ডিনিও এবং ডেকো'কে বেচে দিয়েছেন, কিনেছেন দানি আলভেজ, সেইডু কাইটা এবং জেরার্ড পিকে'কে - ডিফেন্স স্ট্রং করার জন্য৷

বুধবারেও ম্যানচেস্টারের কোচ সার আলেক্স ফার্গুসনের অভিজ্ঞতা গুয়ার্দিয়োলার গুরুদত্ত, অর্থাৎ ইয়োহান ক্রয়েফ দত্ত ফুটবল ফিলসফি, এবং তাঁর নিজস্ব সহজাত বুদ্ধির কাছে হার মেনেছে৷ চারজন সাসপেন্ডেড অথবা ইনজিওর্ড ডিফেন্ডারের অভাব নিপুণভাবে পূরণ করেছেন৷সামুয়েল এটো'কে ডান দিকে খেলিয়ে এবং লিওনেল মেসি'কে আক্রমণে ঝুলিয়ে রেখে ফার্গুসনকে ধন্দে ফেলে দিয়েছেন৷

মেসি

পেপ-এর মতো বার্সেলোনার আর একটি ঘরোয়া, হাতে গড়া, নকশিকাঁথা কাহিনী হল লিওনেল মেসি, যার পাশে ম্যানচেস্টারের এবং বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো'কে মিট মিট করতে হয়েছে৷ আর্জেন্টিনার এক ছোট শহরের পোড়ো জমিতে ফুটবল খেলতো একটি ন'-দশ বছরের ছেলে৷ তার প্রতিভার খোঁজ পেয়ে তাকে বার্সেলোনায় তুলে নিয়ে আসা, তার ঠিকমতো উচ্চতা বাড়ছে না বলে তার হরমোন থেরাপির ব্যবস্থা করা, গরীব পরিবার বলে তার বাবা'কে চাকরি দেওয়া - এ'সবই করেছে এফসি বার্সেলোনা৷ ক্লাবের যুবদল থেকে আসল ক্যাডারে আসতে বেশী সময লাগেনি৷ বাকি ছিল শুধু একটি কাজ, গুয়ার্দিয়োলার আগের কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকহার্ড যে কাজটি সম্পন্ন করেন, মেসি'কে বাঁ দিকের বদলে ডানদিকে খেলিয়ে৷ বাকি ইতিহাস৷

Champions League FC Barcelona Manchester Flash-Galerie
মেসির পাশে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো'কে মিট মিট করতে হয়েছেছবি: picture-alliance/ dpa

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান