1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে রুশদি

নাওমি কনরাড/এসি২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সালমান রুশদি-র আত্মজীবনীর নাম ‘‘জোসেফ আন্টন’’৷ আয়াতোল্লাহ খোমেনি-র ফতোয়ার পর রুশদির অনিশ্চয়তা, তাঁর অস্থির জীবনের কাহিনি যার উপজীব্য৷ বার্লিনের ‘লিটারাটুয়রফেস্ট’ বা সাহিত্যোৎসবে এসেছিলেন বিতর্কিত লেখক৷

https://p.dw.com/p/19kxX
ARCHIV - Der britisch-indische Schriftsteller Salman Rushdie (Archivfoto vom 01.02.2009) hat einen Vertrag zur Veröffentlichung seiner Memoiren unterschrieben. Das Buch, in dem Rushdie unter anderem über die Zeit berichten will, in der er wegen Morddrohungen islamischer Fundamentalisten untertauchen musste, soll vermutlich 2012 erscheinen. Das teilte der Verlag Random Haus, der die Biografie weltweit gleichzeitig auf Englisch, Spanisch und Deutsch auf den Markt bringen will, am Donnerstag (21.10.2010) in London mit. Foto: RICARDO MALDONADO +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

‘‘জায়গাটা কি পুরোপুরি নিরাপদ? ফতোয়া তো এখনও জারি আছে, নয় কি?'' সাংবাদিক সম্মেলনে রুশদির আবির্ভাবের আগে প্রশ্ন করছিলেন এক সাংবাদিক৷ ১৯৮৯ সালে সেই ফতোয়া জারি হওয়ার পর রুশদিকে বারংবার পলায়ন, গোপন আশ্রয় বদল, পুলিশি সুরক্ষা, এমন নতুন এক পরিচয়ের বিভীষিকাময় জীবনযাপন করতে হয়৷ ‘‘জোসেফ আন্টন'' সেই জীবনের কাহিনি৷

দশ বছর ধরে সালমান রুশদি ‘জোসেফ আন্টন' পরিচয় নিয়ে বেঁচে ছিলেন৷ অথচ বার্লিনের সাহিত্যোৎসবে রুশদি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, পরে নিজের রচনা থেকে পড়লেন – এ সবই ঘটলো নামমাত্র নিরাপত্তার মধ্যে৷ না পুলিশ, না অতিথি-অভ্যাগতদের ব্যাগ সার্চ৷ সব সত্ত্বেও তিনি নিরাপদ বোধ করছেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে ৬৬ বছর বয়সি রুশদি বললেন: ‘‘আপনার যদি নিরাপত্তার প্রয়োজন থাকে, তবে আপনি কিছু নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেন৷''

Der britisch-indische Autor Salman Rushdie stellt seine Autobiografie in Berlin vor. Copyright: DW/H. Kiesel
আয়াতোল্লাহ খোমেনি-র ফতোয়ার পর রুশদির অনিশ্চয়তা, তাঁর অস্থির জীবনের কাহিনি নিয়ে লেখা বই বার্লিনের সাহিত্যোৎসবেছবি: DW/H. Kiesel

তিনি নিজে খুব ভালোই বোধ করছেন, জানালেন রুশদি৷ তবে তাঁকে প্রথম দু'টি প্রশ্নই শুনতে হয়েছে ‘‘নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ'' সম্পর্কে, জানালেন রুশদি৷ এটা তাঁকে হতাশ করেছে৷ এবার তাঁকে সাহিত্য সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন করলে তিনি খুশি হবেন, ব্যঙ্গ করে বললেন রুশদি – একবারও ফতোয়ার উল্লেখ না করে৷

‘‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'' সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য: চরম দুঃখের দিনেও তাঁর অন্তরের সেই ‘‘খুদে লেখক''-টি তাঁর কাঁধে চেপে বসে থেকেছে এবং (তাঁর) কানে কানে বলেছে: ‘লেখাটা বেশ ভালোই হয়েছে৷' লেখা বলতে ‘জোসেফ আন্টন'৷ লিখতে চার বছর সময় লেগেছে বলে জানান রুশদি৷ তাহলে কি তিনি কোনোদিনই ভাবেননি, স্যাটানিক ভার্সেস না লিখলেই ভালো হতো? ‘‘জানেন? গত বারো বছর ধরে আমাকে প্রতিদিন এই প্রশ্নটা শুনতে হয়েছে৷''

না, রুশদি তাঁর বিতর্কিত রচনা সম্পর্কে বলেন, তিনি বইটি সম্পর্কে গর্ববোধ করেন এবং তিনি যে ভাবে এই ‘‘অবিশ্বাস্য আক্রমণ'' সামলে উঠতে পেরেছেন, সে বিষয়ে গর্ববোধ করেন৷ কিন্তু আজ তাঁর বইটি সাধারণভাবে পড়া হচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবে কিংবা পাঠক্রমের অঙ্গ হিসেবে৷ কিছু মানুষের বইটা ভালো লাগে, কিছুর লাগে না: কিন্তু সেটাই একটি বই-এর ‘‘সাধারণ জীবন''৷

‘‘অবশেষে বইটা একটা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে, যা তা এতদিন পারেনি'' – যা হয়তো রুশদির নিজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য