1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনালেতে অর্থনৈতিক মন্দা

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা সামলাতে কোনো কোনো দেশ হিমশিম খাচ্ছে এখনো৷ ইউরোপের এমন কিছু দেশের বেশ কিছু ছবি দেখানো হচ্ছে বার্লিনালেতে৷ ছবিগুলো দেখাচ্ছে হতাশা, আশার আলো জ্বালাচ্ছে একইসঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/17dOt
***Die Nutzungsrechte der aktuellen Filmfotos gelten ausschließlich für die Festivalberichterstattung*** ***Für eine Verwendung nach dem 15. März des jeweiligen Festivaljahrgangs müssen die Rechte vom jeweiligen Rechteinhaber eingeholt werden*** ***Bei der Verwendung von Fotos in Sozialen Netzwerken ist darauf zu achten, ob das entsprechende Material vom Rechteinhaber für diesen Verwendungszweck freigegeben wurde*** Lovelace Panorama 2013 USA 2012 REGIE: Rob Epstein, Jeffrey Friedman Peter Sarsgaard, Amanda Seyfried © Dale Robinette
ছবি: Dale Robinette

ইউরোপের দুটি দেশ স্পেন আর গ্রিস এখনো অর্থনৈতিক মন্দার তীব্র মন্দ হাওয়ার তোড়ে বেসামাল৷ ঋণ সংকট এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাধ্য হয়ে দুটি দেশের সরকারকে নিতে হয়েছে ব্যাপক ব্যয়সংকোচনের উদ্যোগ৷ আর তাতেই এক ধরনের সংকট দেয়া দিয়েছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে৷ বিশেষ করে চলচ্চিত্র জগত আগের মতো আর সরকারি অনুদান পাচ্ছে না৷ স্বাভাবিক কারণেই অনুদানের ছবির সংখ্যা কমেছে৷

তাই বলে পরিচালকরা বসে নেই৷ ছবি তৈরি ঠিকই চলছে৷ এবার বার্লিনালের ৬৩তম আয়োজনেও বেশ কিছু ছবি এসেছে ইউরোপের সংকটাপন্ন দেশগুলো থেকে৷ চলচ্চিত্র তো সমাজের ছবি মুখ দেখানোরও আয়না৷ তাই এবার দেখা যাচ্ছে ঋণজর্জর দেশগুলোর ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে মানুষের জীবনযুদ্ধের নানা চিত্র৷ স্পেনের নয়েস বাল্লুস তাঁর লা প্লাগা ছবিতে দেখিয়েছেন বার্সেলোনার অদূরে পাঁচ হতদরিদ্রের জীবনযুদ্ধ৷ গ্রিসের পরিচালক থানোস আনাসতোপুলোসের ‘দ্য ডটার' ছবির কাহিনিটা একটু অন্যরকম৷ সেখানে দেখানো হয়েছে এক তরুণী তাঁর বাবার হঠাৎ অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়ার জন্য যে লোকটি বেশি দায়ী, তাঁকে শায়েস্তা করছেন৷ এলিনা সিকু ‘ দ্য ইটারনাল রিটার্ন অফ আন্তোনিস পারাসকেভাস' ছবিতে তুলে ধরেছেন এক জনপ্রিয় উপস্থাপকের অর্থনৈতিক দুর্দশার বাস্তবতা৷ এক সময়ের সুপারস্টার অর্থাভাবের সবরকমের কষ্ট কীভাবে মোকাবিলা করছেন তা দেখে অনেকেরই মন নিশ্চয়ই কাঁদবে৷

কিন্তু পরিসংখ্যান একটা আশার বার্তাও পাঠিয়েছে ইউরোপের সমস্যাসঙ্কুল দেশগুলোর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে৷ সংকট যত বড়, আশার ইঙ্গিতও ততটাই৷ যাঁরা টাকার অভাবে ভালো কাজ করতে না পারার কথা বলে বলে মুখে ফেলা তোলেন, সরকারি অনুদান না পেলে যাঁদের আজও কর্মস্পৃহার প্রমাণ মেলেনা, তাঁদের লজ্জায় ফেলবে একটি তথ্য৷ ইউরোপে অর্থনৈতিক সঙ্কটে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল দেশ গ্রিস৷ সেখানে সুদিনে বছরে ছবি তৈরি হতো বড়জোর ১৩-১৪টি, গতবছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০! গ্রিসের আরেক চলচ্চিত্র নির্মাতা গ্রিগোরি কারানতিনাকিস অবশ্য এতে অবাক হবার মতো কিছুই দেখছেননা৷ তিনি মনে করেন, সংকট শিল্পচর্চায় কিছু সুবিধাও এনে দেয়৷ সাহসী এবং উৎসাহীদের মনে জাগায় প্রতিকূলতা জয় করার জেদ৷ স্পেন এবং গ্রিসের চলচ্চিত্র জগত তেমন কিছু মানুষের হাত ধরেই এখনো এগিয়ে চলেছে৷

এসিবি/এসবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য