বায়ার্ন মিউনিখ দল, এগিয়ে যাও! | পাঠক ভাবনা | DW | 25.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

বায়ার্ন মিউনিখ দল, এগিয়ে যাও!

চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে বায়ার্ন মিউনিখের বিরাট ব্যাবধানে জয় খুবই খুশির খবর৷ অসাধারণ এই জয়ের জন্য বায়ার্ন মিউনিখকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নতুন দিল্লি থেকে সুভাষ চক্রবর্তী৷

তিনি আরো লিখেছেন, বার্সেলোনার পক্ষে ফিরতি খেলায় ৪ গোলের ব্যাবধান মিটিয়ে ফাইনালে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনেই হয় না৷

কেকা প্রধান লিখেছেন, প্রিয় ডয়চে ভেলে, ওয়েবসাইটে গতকাল বেশ কয়েকটি সুন্দর লেখা পেলাম৷ পেলাম রানা প্লাজা ভেঙে পড়ার উপর ছবিঘর ও নিবন্ধ৷ বার্সিলোনার উপর বায়ার্নের জয়ের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা, আগামী দিনের খাদ্য সংকট নিরসনে আফ্রিকার ভূমিকা সম্বন্ধে সুলিখিত নিবন্ধ, এরকম কত কিছু৷

তবে সবচেয়ে ভালো লাগল পশ্চিমবঙ্গের একটি চিটফান্ডের সাম্প্রতিক প্রতারণার উপর লিখিত ‘প্রতারণায় সর্বস্বান্ত পশ্চিমবঙ্গ' নিবন্ধটি৷ সাম্প্রতিককালে এতবড় প্রতারণা পশ্চিমবঙ্গে আর ঘটেনি৷ গৃহবধূ থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, ইত্যাদি সর্বস্তরের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছে৷ অবশ্য কিছুদিন আগেই আরবিএম নামক এরকমই একটি সংস্থা উচ্চ হারে ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে৷

তারপরেও মানুষ যে এইসব সংস্থায় টাকা রাখছে, তার কারণ আকর্ষণীয় ফেরত লাভের হাতছানি৷ এই সব সংস্থায় এজেন্টরাও খুব উচ্চ হারে কমিশন পান৷ ফলে সর্বাধিক আমানত জমা করার জন্য তাঁরাও সর্বশক্তি নিয়োগ করেন৷ অনেক সময়ই পরিচিত স্নেহভাজন বা বন্ধুস্থানীয় এজেন্টের কথা ফেলতে না পেরে মানুষ টাকা জমান এই সব সংস্থায়৷ এইভাবে আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও অসংখ্য চিটফান্ড তাদের ব্যবসার জাল বিস্তার করেছে৷ এদের মধ্যে কোনগুলি আইনীভাবে ব্যবসা করছে, আর কোনগুলিই বা বেআইনী – সেটা সাধারণ মানুষের বোঝা সম্ভব নয়৷ এখনই যদি সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আরও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য৷ এই পরিস্থিতিতে ‘প্রতারণায় সর্বস্বান্ত পশ্চিমবঙ্গ' একটি সময়োপযোগী নিবন্ধ৷ স্থানীয় পত্রপত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে৷ কিন্তু আপনাদের নিবন্ধে যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে বিষয়টির সমস্ত দিক অত্যন্ত সুন্দরভাবে ধরা পড়েছে৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ ইতি কেকা প্রধান, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট ভালো লাগারার অন্যতম কারণ হলো, বিজ্ঞান জগতের সাম্প্রতিকতম অনেক চিত্তাকর্ষক তথ্য এখানে পাওয়া যায়৷ বৈজ্ঞানিক তথ্যে সমৃদ্ধ প্রতিবেদনগুলি বেশ সুখপাঠ্যও বটে৷ যেমন, আজকের ‘বিজ্ঞান পরিবেশ' বিভাগে ‘মহাকাশে সফল অভিযান চালালো অ্যান্টারেস' প্রতিবেদনটি থেকে জানতে পারলাম, নাসার অর্থাভাবের কথা, আর সেই কারণেই বেসরকারি সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে সেই সমস্যা কাটিয়ে গবেষণা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার কথা৷ নাসার অন্যতম সহযোগী ‘অর্বিটাল সায়েন্সেস কর্পোরেশনে'-র আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রসদ পাঠানোর প্রয়াসের সাফল্য মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ৷

গত রবিবার এই সংস্থার পাঠানো ১৩০ ফুট লম্বা অ্যান্টারেস নামক রকেটের সাহায্যে ৩৮০০ কিলগ্রাম ওজনের ক্যাপসুল ‘সিগনাস'-কে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৭৫ কিমি উঁচু কক্ষপথে স্থাপন করার সুখবরটি এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারলাম৷ এই ক্যাপসুল অবশ্য পরীক্ষামুলক বা রিহার্সাল৷ ২০১৬ সালের শুরুর দিকে হবে চূড়ান্ত উৎক্ষেপণ৷ সেই কর্মসূচির দিকে তাকিয়ে রইলাম৷ আশা করি এবারের মতোই সেই কর্মকাণ্ডেরও সাফল্যের সুখবরটি পাব ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটেই৷ প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা গেল, সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মহাকাশ গবেষণাতেও চলছে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা৷ ২০১২ সালে ‘অর্বিটালে'-র প্রতিদ্বন্দ্বী ‘স্পেস এক্স' এরকমই এক পরীক্ষামূলক অভিযানে সাফল্যলাভ করে৷ আর তার অল্প দিনের মধ্যেই একই রকম সাফল্য অর্জন করল এই সংস্থাও৷ তাই আশা রাখি, সংস্থাগুলির নিজেদের মধ্যে এরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে মহাকাশ বিজ্ঞানেরই অগ্রগতি ঘটবে৷

এই প্রতিবেদনে আরও যে একটা দিক ফুটে উঠেছে, সেটা হলো, যেসব ব্যয়বহুল কর্মসূচিতে অধিক অর্থ বিনিয়োগ করা কোনো দেশের সরকারের পক্ষে অসুবিধাজনক হয়ে দাঁড়ায়, সেসব ক্ষেত্রে সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ এক আদর্শ বিকল্প হতে পারে৷ এটা শুধু মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই নয়, সর্বক্ষেত্রেই সত্য৷ সুন্দর এই প্রতিবেদনটির জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে পাঠক বন্ধু সুখময় মাজী৷

- বিস্তারিতভাবে মতামত জানানোর জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন