1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘বাবার ফোন আসলে মনে হয়...’’

২৯ নভেম্বর ২০১৩

গত কদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের৷ বিশেষ করে বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগের কাছে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে ১৯ জনকে দগ্ধ করার ঘটনা সকলের মনে দাগ কেটেছে৷

https://p.dw.com/p/1AQU2
Smoke rises as a bus burns on a street after a nationwide strike was called, in Dhaka November 9, 2013. The opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) on Saturday announced another 84-hour nationwide strike, starting on Sunday, after police arrested BNP leaders, triggering violent protests across the country. No one claimed responsibility for setting the bus on fire and no casualties were reported, authorities said. Picture taken November 9, 2013. REUTERS/Mahmud Opu (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

সামহয়্যার ইন ব্লগে তোফায়েল হোসেন লিখেছেন, ‘‘সুস্থ মানুষের পক্ষে কখনও সম্ভব না জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা৷ এরা আসলে মানুষই না, এরা পশু৷ নাহ পশুর চেয়েও অধম জানি না এই দেশ এমন পশুর হাত থেকে কখনও মুক্তি পাবে কিনা৷'' তাঁর মতে, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে কখনও সাধারণ মানুষের ভালোর জন্য, দেশের শান্তির জন্য কোনো সুস্থ রাজনীতির চর্চা হয়েছে বলে মনে হয় না৷ শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে, নিজের গদিকে টিকিয়ে রাখার রাজনীতি হয়েছে৷ আর সেই লোভের আগুনে পুড়েছে আমাদের মতো হাজার হাজার সাধারণ মানুষ৷ এই দেশ শুধু নামেমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ৷ সত্যিকার অর্থে কোনোদিন ছিল না আর সামনে কখনও হবে কিনা জানা নাই৷''

একই ব্লগে আল আমীন তাঁর পোস্টে শাহবাগের ঘটনায় দায়ীদের ধরতে না পারার জন্য পুলিশের সমালোচনা করেছেন৷ তিনি হিসেব করে বলেছেন, শাহবাগে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন প্রেসক্লাব থেকে শিশু পার্ক হয়ে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত ৮টি পয়েন্টে পুলিশ ছিল৷ ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে কোনো পুলিশের পায়ে হেঁটে যেতে লাগার কথা দুই মিনিট৷ আর আশেপাশে থাকা পুলিশের টহল গাড়ির ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লাগার কথা মাত্র ৩০ সেকেন্ড৷ কিন্তু তারপরও কেউ ধরা না পড়ায় বেশ ক্ষুব্ধ ব্লগার আল আমীন৷

আমারব্লগে জয় সাহা জানতে চেয়েছেন হরতাল অবরোধের মানে কি মানুষ হত্যা? তিনি লিখেছেন, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী হরতাল নৈতিক অধিকার যতক্ষণ এটি জনগণ মেনে নেয়৷ হরতাল, অবরোধ যখন জোর করে মানুষের উপর চাপানো হয় তখন সেটি বেআইনি৷ আর যখন এই হরতাল, অবরোধের জের ধরে মানুষ হত্যা হয় তখন তা অপরাধ৷ অথচ অপরাধের কোনো শাস্তি কেউ পাচ্ছে বলে তো দেখছি না৷''

একই ব্লগে ফাতেমা জোহরা লিখেছেন, ‘‘মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে আমাদের দেশে৷ একটার পর একটা নিরীহ মানুষ যুক্ত হচ্ছে সেই মৃত্যুর মিছিলে৷ মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি আমিও যুক্ত হলাম সেই মিছিলে, এই বুঝি আমার স্কুল পড়ুয়া ভাইটা সেই মিছিলে হেঁটে যাচ্ছে৷ যতক্ষণ পর্যন্ত ভাইটা না ফেরে ততক্ষণ পর্যন্ত কান পেতে রাখি দরজায়, অপেক্ষায় থাকি কখন ও এসে বলবে – আপু, দরজা খোলো৷ আর অস্থির হয়ে ভাবতে থাকি ঠিক মতো ফিরবে তো ভাইটা! নাকি মনিরের মতো....আবার, হঠাৎ বাবার ফোন আসলে মনে হয়, বাবাই তো! নাকি অন্য কেউ বাবার মিছিলে যাবার খবর দিতে ফোন করল! কিন্তু যখন ফোনটা ধরে শুনতে পাই ‘হ্যালো মামুনি' তখন মনটা শান্ত হয় এই ভেবে – নাহ, বাবা ভালোই আছে৷ কিন্তু তারপরও এক অসহ্য আতঙ্ক নিয়ে কাটাতে হয় সারাদিন, বাবা সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে তো! নাকি সাভারের সেই নিরীহ সিএনজি চালকের ১০ বছরের মেয়েটির মতো আমাকেও বাবাহারা হতে হবে?''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য