1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবরি মসজিদ ধ্বংসকান্ড ইস্যুতে ভারতের সংসদ উত্তাল

২৩ নভেম্বর ২০০৯

বাবরি মসজিদ ধ্বংসকান্ডের তদন্তকারী বিচারপতি লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট সংসদে পেশ করার আগেই সংবাদপত্রে কী করে ফাঁস হলো, তাই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা সোমবার সংসদের উভয় সভায়৷

https://p.dw.com/p/Kdnf
বাবরি মসজিদ ধ্বংসকান্ডের তদন্ত রির্পোট প্রকাশের দাবি ভারতীয় মুসলিমদেরছবি: AP

রিপোর্টের ফাঁস হওয়া অংশে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ি, এল কে আডবানি, মুরলিমনোহর যোশি ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের

বাবরি মসজিদ ধ্বংসকান্ডের তদন্তকারী লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট সংবাদপত্রে কীকরে ফাঁস হলো, কে ফাঁস করলো তাই নিয়ে সোমবার সংসদে উত্তেজনা চরমে ওঠে৷ এই ইস্যুতে ডান-বাম সবাই এককাট্টা৷ অবিলম্বে সংসদে ঐ রিপোর্ট পেশ করতে হবে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম উত্তরে বলেন, রিপোর্ট তাঁর দপ্তর থেকে ফাঁস হয়নি৷ তবে রিপোর্ট বর্তমান অধিবেশনেই সংসদে পেশ করা হবে৷ বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির বক্তব্য, রিপোর্টের দুটি কপি৷ একটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অন্যটি কমিশনের কাছে৷স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে কমিশনের সূত্রেই তা ফাঁস হয়েছে৷ এটা অতি গুরুতর বিষয়৷

রিপোর্টের ফাঁস হওয়া অংশে বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে বলা হয়েছে, আগে থেকে পরিকল্পিত৷ এটা আচমকা ঘটনা নয়৷ বিজেপিকে সামনে রেখে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবার বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ আরএসএস৷ বাবরি মসজিদ ধ্বংসকান্ডে অটল বিহারী বাজপেয়ি, এল কে আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ভূমিকা ছিল, বলা হয়েছে রিপোর্টের ফাঁস হওয়া অংশবিশেষে৷

তবে তদন্ত রিপোর্টে কিন্ত রেহাই দেওয়া হয়েছে তত্কালীন পি ভি নরসিমহা রাও-এর কংগ্রেস সরকারকে৷ধ্বংসকান্ড ঠেকাতে কেন্দ্রের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের তত্কালিন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংকে৷ তিনি কেন্দ্রের সাহায্য চাননি৷ বরং পরিস্থিতির গুরুত্ব চাপা দেবার চেষ্টা করেছিলেন৷ রাজ্য সরকারকে ডিঙিয়ে কেন্দ্রের পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিলনা৷ বিজেপি সভাপতি মনে করেন, সময় বুঝেই রিপোর্ট ফাঁস করা হয়েছে৷ ঝাড়খন্ড বিধানসভার ভোটের মেরুকরণের উদ্দেশ্যে৷

বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল ১৯৯২-এর ৬ই ডিসেম্বর৷ এর ১০দিন পর গঠিত হয় লিবারহান তদন্ত কমিশন৷ এই কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয় ৪৮ বার ৷ কমিশনের জন্য খরচ হয় সরকারের সাত কোটি টাকা৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক