1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলা সাহিত্য

৬ সেপ্টেম্বর ২০১২

বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে আরো বেশি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করতে হবে এবং বড়মাপের বইমেলাগুলোতে অংশ নিতে হবে বলে মনে করেন সাহিত্যিক ও প্রকাশক পপি চৌধুরী৷

https://p.dw.com/p/162MY
Auf dem Bild: Ms Popy Chowdhury, Schriftstellerin und Besitzerin des Pritom Verlages Datum: 23.08.2012 Eigentumsrecht: Ms Popy Chowdhury, Dhaka, Bangladesch
ছবি: Privat

সেই ছোট্ট বেলা থেকেই লেখালেখি করেন পপি চৌধুরী৷ কিন্তু নিজের লেখা প্রকাশ করতে গিয়ে বেশ হোঁচট খান তিনি৷ এমনকি প্রতারণার শিকার হন বলেও ডয়চে ভেলেকে জানান তিনি৷ সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজেই একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন৷ সেটির নাম প্রীতম প্রকাশ৷ এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান চালু করার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এখন থেকে প্রায় ১০ বছর আগে আমি নিজের একটি বই ছাপতে দিয়েছিলাম বাংলাবাজারে৷ কিন্তু আমি ভীষণভাবে প্রতারিত হয়েছিলাম৷ অনেক টাকাও গিয়েছিল আবার বইটা কাউকে দেওয়ার মতো হয়নি৷ সেই দুঃখবোধ থেকেই আমার প্রকাশনা জগতে আসা৷''

Auf dem Bild: Ms Popy Chowdhury, Schriftstellerin und Besitzerin des Pritom Verlages mit ihrem Mann Datum: 27.02.2012 Eigentumsrecht: Ms Popy Chowdhury, Dhaka, Bangladesch
ছবি: Privat

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে তুলতে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলাসহ বড় বড় বইমেলাগুলোতে অংশগ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷ তবে সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন পপি চৌধুরী৷ তাঁর মতে, ‘‘ইংরেজি হলো আন্তর্জাতিক ভাষা৷ তাই আমার মনে হয়, আমাদের যেগুলো উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম রয়েছে সেগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করা উচিত৷ আমি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি৷ আমার প্রকাশনা থেকে প্রায় আট-দশটি ইংরেজি বই প্রকাশ করেছি৷ আমার ইচ্ছা আছে, যখন ২০টির মতো ইংরেজি বই প্রকাশ করতে পারবো তখন আমি বাইরের বইমেলাগুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো৷ ইংরেজি করে নিয়ে যেতে পারলে তখন বিদেশিরাও আমাদের সাহিত্য সম্পর্কে জানতে পারবে, পড়তে পারবে৷''

Interview Popy Chowdhury for online - MP3-Mono

নিজের প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে তিনি ডিডাব্লিউ'কে বলেন, ‘‘আমার এ পর্যন্ত ১৭টি বই বের হয়েছে৷ এগুলো বিভিন্ন বিষয়ের উপর৷ উপন্যাস, ছোটগল্প, রূপকথার গল্প এবং বাচ্চাদের বইও রয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে ১৪টি উপন্যাস৷ আমার লেখাগুলো মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বঞ্চনা ও নির্যাতনের কথা রয়েছে যা আমাদের খালি চোখে দেখা যায় না৷ যেগুলো অনেক ভেতরে কিংবা অভিজাত পরিবারে যেসব নির্যাতন হয়, সূক্ষ্ম যে নির্যাতন, কিছুটা মানসিক, কিছুটা শারীরিক এ ধরণের নির্যাতনের কথা আমি তুলে ধরার চেষ্টা করি৷ এক কথায় বিনোদনের পাশাপাশি আমি চেষ্টা করি সমাজের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে৷''

বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য আগামী একুশে বইমেলায় নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা লব্ধ ভ্রমণ কাহিনি পাঠকদের উপহার দেবেন বলে জানালেন এই লেখিকা ও নারী অধিকার কর্মী৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য